ট্রাম্পের আদেশে আদালতের সাময়িক স্থগিতাদেশ
জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব- রয়টার্স
- ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেয়া যে কারো স্বয়ংক্রিয়ভাবে নাগরিক হওয়ার অধিকার খর্ব করে ট্রাম্পের দেয়া নির্বাহী আদেশের বাস্তবায়ন সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত করেছেন দেশটির কেন্দ্রীয় এক বিচারক। ট্রাম্পের আদেশ ‘স্পষ্টতই অসাংবিধানিক’, গত বৃহস্পতিবার সিয়াটলভিত্তিক ইউএস ডিস্ট্রিক্ট আদালতের বিচারক জন কাফেনর এ মন্তব্যও করেছেন।
ডেমোক্র্যাট নেতৃত্বাধীন ৪ রাজ্য- ওয়াশিংটন, আরিজোনা, ইলিনয় ও অরেগনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কাফেনর ১৪ দিনের এই স্থগিতাদেশ দেন। স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরো দীর্ঘ হবে কি না তা নিয়ে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি শুনানি হবে। ইউএস ডিস্ট্রিক্ট আদালতের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প।
দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হয়ে প্রথম দিন সোমবারই ট্রাম্প একগাদা নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন। তার মধ্যে ১৯ ফেব্রুয়ারির পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেয়া কারো বাবা-মা দু’জনই অবৈধ অভিবাসী হলে, বা এদের একজনও বৈধ স্থায়ী বাসিন্দা না হলে ওই সন্তানের স্বয়ংক্রিয়ভাবে নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার রহিত করতে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনাও ছিল। এর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় দুই ডজন রাজ্য, একাধিক শহর ও অসংখ্য নাগরিক সংগঠন আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। তার ধারাবাহিকতায় ফেডারেল বিচারক কাফেনর বৃহস্পতিবার ওই নির্বাহী আদেশের বাস্তবায়ন কিছুদিনের জন্য ঠেকিয়ে দিলেন।
মার্কিন এ বিচারক আরেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের হাতে নিয়োগ পেয়েছিলেন। ‘বারের এক সদস্য কী করে দ্ব্যর্থহীনভাবে (ট্রাম্পের) এই আদেশকে সাংবিধানিক বলতে পারে তা বুঝতেই পারছি না আমি। এটা আমাকে বিচলিত করছে,’ ট্রাম্পের আদেশের পক্ষে যুক্তি দেয়া মার্কিন বিচার বিভাগের এক আইনজীবীর উদ্দেশ্যে এমনটাই বলেন বিচারক কাফেনর। আদালতের দ্বারস্থ হওয়া রাজ্যগুলো বলছে, ট্রাম্পের আদেশ যুক্তরাষ্ট্রের চতুর্দশ সংশোধনীর লঙ্ঘন। ওই সংশোধনীতে যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেয়া সবাইকে দেশটির নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।
‘চার দশক ধরে আমি বিচারকের দায়িত্ব পালন করছি। এর মধ্যে এমন কোনো মামলার কথা স্মরণ করতে পারছি না যেখানে উত্থাপিত প্রশ্ন এতটা স্পষ্ট ছিল। এটা (ট্রাম্পের আদেশ) স্পষ্টতই অসাংবিধানিক,’ বলেছেন কাফেনর। তার এ সাময়িক স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে দিনকয়েকের ভেতর আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন বিচার বিভাগের আইনজীবী ব্রেট সুমেট। বিচার বিভাগের এক মুখপাত্র বলেছেন, তারা ট্রাম্পের আদেশের পক্ষে ‘জোর লড়াই’ চালাবেন।