তুরস্কের ক্ষমতাসীন এ কে পার্টিতে আরো আইনপ্রণেতা
- ডেইলি সাবাহ
- ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
২০০২ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টিতে (এ কে পার্টি) গত সপ্তাহে বিরোধী গুড পার্টির (আইপি) আইনপ্রণেতা কুরসাদ জোরলু যোগদান করেছেন। এতে পার্লামেন্টে এ কে পার্টির আরেকটি আসন নিশ্চিত হয়েছে। ২০২৩ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর বেশ কয়েকটি আসন হারানোর পর জোরলুর এই পরিবর্তন পার্লামেন্টে এ কে পার্টির অবস্থান আরো শক্তিশালী করেছে।
দেড় বছরে অনেক আইনপ্রণেতাকে হারানো সত্ত্বেও পার্লামেন্টে এ কে পার্টি তাদের আসন সংখ্যা ২৬৮টি আসন থেকে ২৬৯টিতে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছে। ২০২৩ সালের নির্বাচনে এ কে পার্টি ফ্রি কজ পার্টি ও ডেমোক্র্যাটিক লেফট পার্টি থেকে পাঁচজন আইনপ্রণেতাকে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছিল। কারণ এই দলগুলো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য এ কে পার্টির নেতৃত্বাধীন পিপলস অ্যালায়েন্সকে সমর্থন করেছিল। নির্বাচনের পরে এই আইনপ্রণেতারা তাদের দলে ফিরে যান।
২০২৪ সালের জুলাই মাসে পরিবেশ, নগর পরিকল্পনা ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রীর পদ গ্রহণের সময় মুরাত কুরুম পার্লামেন্ট ত্যাগ করলে দলটি আরেকটি আসন হারায়। তবে বিরোধী দলের সাতজন আইনপ্রণেতা এ কে পার্টিতে যোগ দেন, যার মধ্যে আইপির পাঁচজন, নিউ ওয়েলফেয়ার পার্টি থেকে একজন এবং ফিউচার পার্টি থেকে একজন অন্তর্ভুক্ত।
এ দিকে আইপি গত দেড় বছরে ২০২৩ সালের নির্বাচনে জিতে আসা ৪৩টি আসনের তুলনায় ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। জোরলুর সাথে ১৪ জন আইনপ্রণেতা দল ত্যাগ করে হয় প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টিতে যোগ দিয়েছেন অথবা স্বতন্ত্র সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন চালিয়ে যাচ্ছেন।
সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান থেকে আরো দেখা যায় যে দুই দশক আগে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এ কে পার্টির সদস্য সংখ্যা এখন সর্বোচ্চ। সুপ্রিম কোর্ট অফ আপিলের জেনারেল প্রসিকিউশন অফিসে আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধিত ১৬৮ দলগুলোর মধ্যে এটি একটি। এ কে পার্টির সদস্য সংখ্যা এক কোটি ১১ লাখেরও বেশি। আর তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সিএইচপির দলের সদস্য সংখ্যা ১৫ লাখেরও বেশি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা