মার্কিন কারাগার থেকে মুক্তি পেতে পারেন আফিয়া সিদ্দিকী

মার্কিন কারাগারে বন্দী পাকিস্তানি স্নায়ুবিজ্ঞানী ডক্টর আফিয়া সিদ্দিকীকে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই মুক্তি দেয়া হবে। তার মুক্তির তদবিরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া প্রতিনিধি দলের সদস্য অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইকবাল জাইদি এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের সাথে এক সাক্ষাৎকারে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডক্টর জাইদি বলেছেন, ডক্টর আফিয়া গুরুতর স্বাস্থ্যগত জটিলতায় ভুগছেন।
তবে বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সোমবার ক্ষমতা ছাড়ার আগে তার সাজা কমিয়ে দেবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, যদি বাইডেন পদক্ষেপ না নেন, তাহলে পাকিস্তান সরকার বিষয়টি সমাধানের জন্য নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে যোগাযোগ করবে। ড. জাইদি আরো জানান, তিন সদস্যের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল ডক্টর আফিয়ার মুক্তির তদবিরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন।
যদিও তাদের লক্ষ্য ছিল প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে সাক্ষাৎ করা; কিন্তু ভিসা পেতে বিলম্ব হওয়ার কারণে তাদের বৈঠকটি হয়নি। এর পরিবর্তে প্রতিনিধি দল বেশ কয়েকজন সিনেটর এবং পররাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করেছে। এ ছাড়া পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বাইডেনকে চিঠি লিখে মানবিক কারণে ডক্টর আফিয়ার মুক্তি মঞ্জুর করার আহ্বান জানিয়েছেন।
হত্যাচেষ্টার কথিত অভিযোগে ১৬ বছর ধরে কারাদণ্ড ভোগ করছেন ড. আফিয়া। এটি এমন একটি অপরাধ যার জন্য মার্কিন আইনে সর্বোচ্চ সাজা ১০ বছর। তবে তাকে ৮৬ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে, যা বিরল। ড. জাইদি আরো বলেন, ড. আফিয়া ২০ বছর ধরে তার সন্তানদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছেন। যদিও তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপকভাবে পরিচিত নন তবে ৯৯ শতাংশ পাকিস্তানি এবং মুসলিম বিশ্বের অনেকেই তার মামলার বিষয়ে অবগত বলেও জানান জাইদি।
তিনি আরো বলেন, তার (আফিয়া) মুক্তি পাকিস্তানের ২৫ কোটি নাগরিক এবং বিশ্বব্যাপী দুই বিলিয়ন মুসলিম জনসংখ্যার মধ্যে আমেরিকার ভাবমূর্তি উন্নত করবে। প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালের মার্চ মাসে করাচিতে তিন সন্তানসহ ড. আফিয়াকে আটক করা হয়।