গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুনর্গঠনে প্রয়োজন ১০ বিলিয়ন ডলার : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
- এএফপি
- ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের বিধ্বস্ত স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুনর্গঠনে কমপক্ষে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা আরো বেশি অর্থের প্রয়োজন হতে পারে। আগামী পাঁচ থেকে সাত বছরে বিপুল পরিমাণ এই অর্থের প্রয়োজন হতে পারে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রাথমিক হিসেবে উঠে এসেছে।
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে জাতিসঙ্ঘের স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি রিক পিপারকর্ন সাংবাদিকদের বলেছেন, গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুনর্গঠন করতে অনেক বড় অঙ্কের অর্থের প্রয়োজন হতে পারে। তার মতে, ‘গাজার শুধুমাত্র স্বাস্থ্য খাত পুনর্গঠনের জন্য প্রথম দেড় বছরের জন্য তিন বিলিয়ন ডলারেরও বেশি এবং তারপর পাঁচ থেকে সাত বছরের জন্য ১০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে বলে তারা প্রাথমিকভাবে অনুমান করছেন।’
পিপারকর্ন বলেছেন, ‘আমরা সবাই ভালো করেই জানি, গাজায় যে ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে তা অকল্পনীয়। আমি আমার জীবনে বিশ্বের অন্য কোথাও এমন পরিস্থিতি দেখিনি।’ অবশ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস ইতোমধ্যেই বলেছেন, ‘গাজার ৯০ শতাংশ হাসপাতাল ধ্বংস হয়েছে।’
এর আগে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ১৫ মাসের যুদ্ধের অবসান ঘটাতে হামাস ও ইসরাইল একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছায়। দীর্ঘ কয়েক মাস আলোচনার পর গত বুধবার এই চুক্তিতে পৌঁছায় উভয়পক্ষ, যার অন্যতম মধ্যস্থতাকারী ছিল কাতার। যুদ্ধবিরতির এই খবরকে ‘সেরা খবর’ বলেও উল্লেখ করেছেন গেব্রেইয়েসুস।
তার আশা, দীর্ঘ আলোচনার পর উভয়পক্ষের সম্মত হওয়া এই চুক্তি ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সম্পর্কের ইতিহাসের সবচেয়ে অন্ধকার অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটাবে। তিনি বলেছেন, ‘আসুন আমরা সবাই এই খবরকে অত্যন্ত স্বস্তির সাথে স্বাগত জানাই।’
আগামী সোমবার থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে চলেছে। তিন ধাপের এই চুক্তিতে গাজায় যুদ্ধবিরতি, সেখান থেকে ইসরাইলি বাহিনী প্রত্যাহার এবং হামাসের হাতে আটক থাকা বন্দীদের মুক্তির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যদিও এখনো গাজায় ইসরাইলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। বুধবার যুদ্ধবিরতি চুক্তির ঘোষণা আসার পর ইসরাইলি হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৮৭ জনেরও বেশি নিহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
চুক্তির অংশ হিসেবে হামাসের হাতে আটক ৩৩ বন্দীর মুক্তির পরিবর্তে ইসরাইলের কারাগারে বন্দী ফিলিস্তিনিদের অনেককে ছেড়ে দেয়া হবে। গাজার ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকাগুলো থেকে ইসরাইলি বাহিনী আরো পূর্ব দিকে সরে যাবে। এর ফলে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা তাদের বাড়িতে ফিরতে পারবেন। এ ছাড়াও ত্রাণবাহী শত শত ট্রাক প্রতিদিন গাজায় প্রবেশের সুযোগ পাবে।
চুক্তির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনায় স্থান পাবে বাকি বন্দীদের মুক্তি এবং ‘টেকসই শান্তির’ জন্য ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি। তৃতীয় ও চূড়ান্ত ধাপে আসবে গাজার পুনর্গঠন। এর জন্য অনেক বছর লেগে যেতে পারে। তবে হামাসের হাতে আর কেউ বন্দী থাকলে তাদের মুক্তির বিষয়টিও আলোচনায় আসবে এই ধাপে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা