২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১, ২৩ রজব ১৪৪৬
`

অবশেষে গ্রেফতার দ: কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে গ্রেফতার করার জন্য সরকারি বাসভবনের প্রবেশপথের সামনে পুলিশ কর্মকর্তারা : ইন্টারনেট -

দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টে অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেফতার করার কথা জানিয়েছে দেশটির দুর্নীতি তদন্ত সংস্থা-সিআইও। গত মাসের শুরুতে সামরিক আইন জারি নিয়ে দেশটিতে কয়েক সপ্তাহের রাজনৈতিক অচলাবস্থার পর বুধবার সকালে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ইউল এক বিবৃতিতে বলেছেন, তাকে গ্রেফতারে বুধবার ভোর থেকে তিন হাজারের বেশি পুলিশ তার বাসভবন ঘিরে রাখে। সহিংসতা এড়াতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।
‘আজ আমি যখন তাদের দমকল বাহিনীর সরঞ্জাম ব্যবহার করে সুরক্ষিত এলাকায় প্রবেশ করতে দেখলাম, তখন আমি সিআইওর তদন্তে সাড়া দেয়ার সিদ্ধান্ত নিই। এটি একটি অবৈধ তদন্ত, তারপরও রক্তপাত এড়াতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ বিদ্রোহের অভিযোগে তদন্তের মুখে থাকা ইউনই দেশটির প্রথম ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট, যিনি গ্রেফতার হলেন।
এই তদন্তের অংশ হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন জারি করা হলেও ইউন তা অগ্রাহ্য করায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ওই পরোয়ানায় গত ৩ জানুয়ারিই তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা হয়েছিল; কিন্তু সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
বুধবার সকালে ইউনকে গাড়িতে করে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে নিয়ে যেতে দেখা যায়। কর্তৃপক্ষ এখন ইউনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ৪৮ ঘণ্টা সময় পাবে।
এরপরে তাকে ২০ দিন পর্যন্ত আটক রাখতে বা তাকে মুক্তি দেয়ার জন্য আদালতের পরোয়ানা চাইতে হবে। আইনজীবীরা বলেছেন, ইউনকে আটক করার চেষ্টা ‘অবৈধ’, তাকে ‘প্রকাশ্যে অপমান করার জন্য’ এই পথ বেছে নেয়া হয়েছে।
ঘটনাস্থলে থাকা গণমাধ্যমকর্মীরা জানিয়েছেন, স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো যখন ইউলকে আটকের সম্ভাবনার কথা লিখতে শুরু করে, তখন তার বাসভবনের কাছে ইউলপন্থী বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের ছোটখাটো সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রেসিডেন্ট ইউন ৩ ডিসেম্বর হঠাৎ সামরিক আইন জারি করে সবাইকে হতভম্ব করে দেন। জনগণ ও পার্লামেন্টের চাপে প্রায় ছয় ঘণ্টা পর সামরিক আইন তুলে নিলেও দক্ষিণ কোরিয়া গভীর রাজনৈতিক সঙ্কটে পড়ে যায়।
এই সামরিক আইন জারিকে কেন্দ্র করে ১৪ ডিসেম্বর পার্লামেন্ট প্রেসিডেন্ট ইউনকে অভিসংশিত করে। অভিশংসিত হওয়ার পর তাকে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এখন একজন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট দক্ষিণ কোরিয়ার প্রশাসনিক কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন। ইউনের বিরুদ্ধে অভিশংসনের সিদ্ধান্ত বহাল রাখতে হলে কোরিয়ার সাংবিধানিক আদালতের অনুমোদন পেতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
মিয়ানমারে ২ জান্তা সৈন্যকে কেন হত্যা করেছে জানাল এএ সৌদি কোম্পানি মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর পরিচালনায় আগ্রহী বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ ও বৈশ্বিক সরবরাহ কাঠামোয় যুক্ত করার প্রতিশ্রুতি রাঙ্গামাটিতে জামায়াতের কর্মী ও সহযোগী সদস্য সম্মেলন পাকুন্দিয়ায় কৃষক হত্যার মূল আসামি গ্রেফতার ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত পলাতক আসাদুজ্জামান খানের সাক্ষাৎকার মিথ্যাচারে পরিপূর্ণ’ যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন করার আহবান ট্রাম্পের, অন্যথায় শুল্ক আরোপের হুমকি সিলেট সীমান্তে এবার ৫ কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ বাংলাদেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায় ভারত : জয়সওয়াল বিএনপির কথার টোন আওয়ামী লীগের সাথে মিলে যাচ্ছে : নাহিদ ইসলাম খুবি ছাত্রকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা

সকল