লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানল নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টায় দমকলকর্মীরা
- রয়টার্স
- ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস শহরের কিছু অংশ ধ্বংস করে দেয়া দু’টি ব্যাপক দাবানলের সীমা চরম পরিস্থিতি সত্ত্বেও মঙ্গলবার আর বাড়তে দেননি দমকলকর্মীরা। চার দিকে শুকিয়ে খটখটে হয়ে থাকা পরিবেশের মধ্যে মরুভূমি থেকে ধেয়ে আসা বাতাসে আগুন আরো উসকে ওঠার মতো বিপজ্জনক অবস্থা বিরাজ করছে; কিন্তু দমকলকর্মীদের অক্ল¬ান্ত চেষ্টায় দাবানল আর ছড়াতে পারেনি। উল্টো দাবানলের ওপর নিয়ন্ত্রণ কিছুটা হলেও বাড়াতে সক্ষম হয়েছেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত সাতটি অঙ্গরাজ্য ও দু’টি বিদেশী রাষ্ট্রের প্রায় আট হাজার ৫০০ দমকলকর্মী লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। তারা টানা দ্বিতীয় দিনের মতো দাবানলগুলোকে আর বাড়তে দেননি। তবে ৭ জানুয়ারি শুরু হওয়া এই দাবানলের থাবায় ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির প্রায় সমপরিমাণ এলাকা ধ্বংস হয়ে গেছে। আকাশযানের একটি বহর শুকিয়ে রুক্ষ হয়ে থাকা পাহাড়গুলোতে পানি ঢালছে ও আগুন নিরোধক ছিটাচ্ছে।
নিচে স্থলে থাকা দমকলকর্মীরা পানির পাইপ ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি নিয়ে ২৪ ঘণ্টা আগুনের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তীব্র ঝড়ো বাতাসের কারণে আকাশযানগুলো কখনো কখনো নিচে নামিয়ে রাখতে হচ্ছে। লস অ্যাঞ্জেলেস নগরীর পশ্চিম প্রান্তের দাবানলটিই সবচেয়ে বড়। এই প্যালিসেইডস আগুন ৯৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকা (২৩ হাজার ৭১৩ একর) পুড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু দমকলকর্মীরা এটিকে এই সীমার মধ্যেই আটকে রাখতে সক্ষম হয়েছেন আর তাদের নিয়ন্ত্রণ ৩ শতাংশ বাড়িয়ে মোট ১৭ শতাংশে উন্নিত করতে পেরেছেন।
নগরীর পূর্ব প্রান্তের পাহাড়গুলোর পাদদেশের ইটন আগুন ৫৭ বর্গ কিলোমিটারের (১৪ হাজার ১১৭ একর) মধ্যেই সীমাবদ্ধ আছে। এই দাবানলের ওপর নিয়ন্ত্রণ ২ শতাংশ বেড়ে ৩৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলে গত এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত উল্লেখ করার মতো বৃষ্টি হয়নি। এতে পাহাড়ি ঝোপঝাড়গুলো শুষ্ক খড়কুটোর মতো হয়ে আছে। এই পাহাড়গুলোর উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মরুভূমি থেকে ধেয়ে আসা স্যান্টা অ্যানা বাতাস আর তা দাবানলের জ্বলন্ত অঙ্গারগুলোকে উড়িয়ে তিন কিলোমিটার দূরে নিয়ে ফেলছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা জানিয়েছে, রাতে স্যান্টা অ্যানা বাতাস দমকা হাওয়া আকারে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠে যাচ্ছে আর এই বিপজ্জনক ‘রেড ফ্ল্যাগ’ পরিস্থিতি স্থানীয় সময় বুধবার পর্যন্ত বজায় থাকতে পারে। মঙ্গলবার দিনে বাতাসের বেগ ধারণার চেয়ে অনেক কম ছিল; কিন্তু স্থানীয় সময় বুধবার বেলা প্রায় ৩টার দিক থেকে পর্বতগুলোর উপর বাতাসের বেগ বেড়ে দমকা হাওয়া আকারে ঘণ্টায় ১১২ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে আবহাওয়া পরিষেবা জানিয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা