১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০২ মাঘ ১৪৩১, ১৫ রজব ১৪৪৬
`

খণ্ডিত বিশ্বে যুদ্ধের ছায়ায় দাভোসে অভিজাতদের সমাগম

-

বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বুধবার প্রকাশিত একটি জরিপে দেখা গেছে, ২০২৫ সালে সশস্ত্র সঙ্ঘাতই হবে সর্বোচ্চ ঝুঁকি। আগামী সপ্তাহে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও ব্যবসায়িক নেতাদের বার্ষিক সমাবেশে বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান বিভাজন হবে আলোচনার শীর্ষে।
শিক্ষা, ব্যবসা ও নীতিনির্ধারণী ক্ষেত্রগুলোতে জরিপ করা ৯০০ জনেরও বেশি বিশেষজ্ঞের মধ্যে প্রায় চারজনের মধ্যে একজন যুদ্ধ ও সন্ত্রাসবাদী সঙ্ঘাতকে আগামী বছরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে গুরুতর ঝুঁকি হিসেবে স্থান দিয়েছেন। ২০২৪ সালের এক নম্বর ঝুঁকি প্রতিকূল আবহাওয়া বর্তমানে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
ডব্লিউইএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিরেক ডুসেক বলেছেন, ‘ক্রমবর্ধমান বিভাজন ও ঝুঁকিপূর্ণ বিশ্বে নেতাদের সামনে একটাই বিকল্প রয়েছে তা হলো পারস্পরিক সহযোগিতা ও স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করা। অথবা জটিল অস্থিরতার মুখোমুখি হওয়া।’
২০ জানুয়ারি ডব্লিউইএফ শুরু হচ্ছে। একই দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ২৩ জানুয়ারি ডব্লিউইএফের সভায় ভার্চুয়ালি ভাষণ দেবেন। ডব্লিউইএফ আয়োজকদের মতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ২১ জানুয়ারি সভায় যোগ দেবেন এবং একটি বক্তৃতা দেবেন। এই বৈঠকে যোগদানকারী বিশ্বের অন্যান্য নেতার মধ্যে ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডের লেইন এবং চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী ডিং জুয়েক্সিয়াংও থাকবেন। ডব্লিউইএফ সভাপতি এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বোর্জ ব্রেন্ডের মতে, সিরিয়া, গাজার ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি এবং মধ্যপ্রাচ্যে সঙ্ঘাতের সম্ভাব্য বৃদ্ধি এই সম্মেলনের মূল আলোচ্যবিষয় হবে। কাতারে ম্যারাথন আলোচনার পর বুধবার মধ্যস্থতাকারীরা গাজায় সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির চূড়ান্ত বিবরণ নিয়ে আলোচনা করছিলেন।
জরিপ অনুসারে ২০২৪ সালের মতোই ভুল তথ্য এবং মিথ্যাচারকে আগামী দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর বৈশ্বিক ঝুঁকি হিসেবে স্থান দেয়া হয়েছে। জরিপে দেখা গেছে, ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পরিবেশগত হুমকির ঝুঁকি বিশেষজ্ঞরা বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন। চরম আবহাওয়া ছিল দীর্ঘমেয়াদি বৈশ্বিক ঝুঁকির শীর্ষে। তারপর রয়েছে জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি, পৃথিবীর ইকোসিস্টেমে মারাত্মক পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক সম্পদের ঘাটতি।
গত বছর বৈশ্বিক তাপমাত্রা প্রথমবারের মতো প্রাক-শিল্প যুগের চেয়ে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৩৪.৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট) বেশি ছিল, যা বিশ্বকে ২০১৫ সালের প্যারিস জলবায়ু চুক্তির অধীনে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘনের কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে বিশেষজ্ঞদের ওপর জরিপ করা হয়েছিল। জরিপে বৈশ্বিক ঝুঁকিকে এমন একটি অবস্থা হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে যা বিশ্বব্যাপী জিডিপি, জনসংখ্যা বা প্রাকৃতিক সম্পদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে। বেশির ভাগ উত্তরদাতা অর্থাৎ প্রায় ৬৪ শতাংশ মনে করেন যে একটি বহুমেরু খণ্ডিত বিশ্বব্যবস্থাই বজায় থাকবে।


আরো সংবাদ



premium cement
আন্দোলনরত ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় ছাত্রদলের নিন্দা ফের ইউরোপের মাঠে ফিরতে যাচ্ছে মেসি! জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সর্বদলীয় সম্মেলন বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সাথে আপসের কোনো সুযোগ নেই : প্রেস সচিব গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হামাস-ইসরাইল আমদানি খরচ কমাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা খসড়া তালিকায় আল আমিন-জীবনরা এনআইডি সেবা হাতে রাখতে প্রধান উপদেষ্টা ও তিন মন্ত্রণালয়কে ইসির চিঠি বিশ্বকাপ খো খো : কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অগ্নি-প্রতিরোধ মহড়া ১৯ জানুয়ারি পাটগ্রামে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ায় মদের বোতল দিল বিএসএফ

সকল