১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০১ মাঘ ১৪৩১, ১৪ রজব ১৪৪৬
`
২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে তদন্ত রিপোর্ট

ফল উল্টে দিতে অপরাধমূলক চেষ্টা ছিল ট্রাম্পের

-

২০২০ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজয়ের পরও ক্ষমতায় থাকার জন্য ‘অপরাধমূলক’ প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে গত ৫ নভেম্বরের নির্বাচনের জয়ের কারণে তার বিরুদ্ধে আর আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়া সম্ভব না। ইউএস স্পেশাল কাউন্সেল জ্যাক স্মিথ তার রিপোর্টে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন, যা মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়। ওই রিপোর্টে বলা হয়, ২০২০ সালে বাইডেনের কাছে পরাজয়ের পর ভোট সংগ্রহ ও প্রত্যয়নে বাধা প্রদানের জন্য একাধিক অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেন স্মিথ।
মামলা লড়ার জন্য যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ থাকলেও ট্রাম্পের হোয়াইট হাউজে ফিরে আসার মঞ্চ প্রস্তুত হয়ে গেছে। তাই তার বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব নয় বলে উপসংহার টেনেছেন স্মিথ। এই তদন্ত পরিচালনার জন্য অনবরত ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক বক্তব্য সহ্য করে গেছেন স্মিথ। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, বাইডেন প্রশাসন বা অন্য কোনো স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী আমার তদন্ত প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করেছে বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প। তার এসব অভিযোগ হাস্যকর।
রিপোর্টটি প্রকাশ হওয়ার পর নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোস্যালে ট্রাম্প লিখেছেন, স্মিথ একজন অপদার্থ প্রসিকিউটর, যিনি নির্বাচনের আগে মামলা শেষ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ডকে লেখা চিঠিতে স্মিথের রিপোর্টকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ’ বলে উল্লেখ করেছেন ট্রাম্পের আইনজীবীরা। হোয়াইট হাউজে ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের ঠিক আগে দিয়ে প্রকাশিত এই রিপোর্ট প্রেসিডেন্সি হস্তান্তর প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।
চিঠিটি জনগণের জন্য উন্মুক্ত করেছে বিচার বিভাগ। এ ছাড়া স্মিথের রিপোর্টের বেশির ভাগ তথ্য উপাত্ত আগেই উন্মুক্ত করা হয়েছিল। তবে প্রকাশিত রিপোর্টে কিছু জিনিস জানা গেছে। যেমন- ক্যাপিটল হিলে হামলার জন্য দেশদ্রোহ মামলায় ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করার পরিকল্পনা করেছিলেন প্রসিকিউটররা। তবে যথেষ্ট প্রমাণের অভাবে সেই পরিকল্পনা থেকে পিছু হটার সিদ্ধান্ত নেন তারা।


আরো সংবাদ



premium cement