১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০১ মাঘ ১৪৩১, ১৪ রজব ১৪৪৬
`

গাজায় যুদ্ধ করতে চায় না অনেক ইসরাইলি সেনা

-

ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা ইয়োতাম ভিল্ক বলেছেন, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি সৈন্যদের নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি কিশোরকে হত্যার চিত্র তার মনে দাগ কেটে গেছে। আর্মার্ড কোরে কাজ করা কর্মকর্তা ভিল্ক বলেছেন, গাজার ইসরাইল নিয়ন্ত্রিত বাফার জোনে প্রবেশকারী যেকোনো অননুমোদিত ব্যক্তিকে গুলি করার নির্দেশ ছিল। তিনি বলেন, তিনি কমপক্ষে ১২ জনকে হত্যা করতে দেখেছেন কিন্তু কিশোরকে গুলি চালানোর ঘটনাটি তিনি মানতে পারছেন না।
২৮ বছর বয়সী ভিল্ক এপিকে বলেছেন, একটি বৃহত্তর ঘটনার অংশ হিসেবে তার মৃত্যু হয়েছে। সেখানে থাকার এবং ফিলিস্তিনিদের মানুষ হিসেবে না দেখার নীতির অংশ হিসেবেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। ১৫ মাসের সঙ্ঘাতের বিরুদ্ধে কথা বলছেন ইসরাইলি অনেক সেনা। তাদের অনেকেই আর গাজায় যুদ্ধ করতে চাইছেন না। ভিল্কও আছেন তাদের দলে। তিনি বলেছেন, তারা এমন কিছু দেখেছেন বা করেছেন, যা নীতিগত সীমা অতিক্রম করে।
যদিও আন্দোলনটি ছোট। প্রায় ২০০ ইসরাইলি সেনা একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। সেখানে সরকার যদি যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত না করে তবে যুদ্ধ বন্ধ করে দেবেন তারা এমন হুঁশিয়ারিই দিয়েছেন। তাদের এ অস্বীকৃতি এমন এক সময়ে এসেছে যখন ইসরাইল এবং হামাসের ওপর যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য চাপ বাড়ছে। যুদ্ধবিরতি আলোচনা চলছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং নবনির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প উভয়ই ২০ জানুয়ারির শপথের আগেই একটি চুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন।
গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যেতে অস্বীকৃতি জানানো সাতজন সেনা এপির সাথে কথা বলেছেন। তারা বর্ণনা করেছেন যে কিভাবে ফিলিস্তিনিদের নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে এবং ঘরবাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে। অনেকেই বলেছেন যে, তাদের কোনো হুমকি না থাকা বাড়িঘরগুলোও পুড়িয়ে বা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। তারা সৈন্যদেরকে লুটপাট এবং ভাঙচুর করতে দেখেছেন। সৈন্যদের রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে হবে এবং তারা খুব কমই সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কথা বলতে পারে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরাইলে আক্রমণ করার পর ইসরাইল গাজায় হামলা শুরু করে। যুদ্ধ এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে এখানে বিভাজন বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে বেশিরভাগ সমালোচনা গাজায় পদক্ষেপ নয়; বরং নিহত সৈন্যের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা এবং জিম্মিদের বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থতার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে।


আরো সংবাদ



premium cement