সিরিয়াকে সহায়তা নিয়ে আরব ও ইইউ কূটনীতিকদের বৈঠক
- এএফপি
- ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
বাশার আল আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় কিভাবে স্থিতিশীলতা ফেরানো যায়, তা নিয়ে আলোচনার জন্য গতকাল রোববার সৌদি আরবে বৈঠকে বসেছেন মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের শীর্ষ কূটনীতিকরা। এ দিন দুই অধিবেশনে আলোচনা হয়। প্রথম অধিবেশনে আরব দেশগুলোর কর্মকর্তারা আলোচনা করেন। দ্বিতীয় অধিবেশন হয় আরো বিস্তৃত। সেখানে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে তুরস্ক, ফ্রান্স, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসঙ্ঘের প্রতিনিধিরাও থাকবেন বলে গত শনিবার জানিয়েছেন সৌদি আরবের একজন কর্মকর্তা।
বৈঠকে অংশ নিতে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে পৌঁছেছেন সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শায়বানি। সৌদি আরবের সরকারি বার্তা সংস্থার তথ্য অনুসারে, আসাদ আল-শায়বানিকে সৌদি উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ আল-খিররিজি স্বাগত জানান। আহমদ আল-শারার নেতৃত্বে সিরিয়ার বিদ্রোহীরা গত মাসে দেশটির দীর্ঘদিনের শাসক বাশার আল আসাদকে উৎখাত করে। আহমদ আল-শারা এখন আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়কে তার দেশের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে আহ্বান করছেন।
এ নিয়ে আলোচনার জন্যই সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে একত্রিত হয়েছেন কূটনীতিকরা। ২০১১ সালে সিরিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ নিষ্ঠুরভাবে দমন করেছিল বাশার আল আসাদ সরকার। বাশার সরকারের ওই দমন-পীড়নের জেরে জাতিসঙ্ঘ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমা শক্তিগুলো সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। সরকারবিরোধী ওই বিক্ষোভ থেকে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়েছিল।
১৩ বছরের বেশি সময় ধরে ওই গৃহযুদ্ধ চলেছে। যুদ্ধে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। দেশটির অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং লাখ লাখ মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। তাদের অনেকে ইউরোপে আশ্রয় নিয়েছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ কূটনীতিক কায়া কালাস গত শুক্রবার বলেছেন, যদি (সিরিয়ার) বর্তমান নেতারা একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করে যেখানে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেয়া হবে, তবে ২৭ সদস্য রাষ্ট্রের জোট নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া শুরু করবে।
২০১২ সালে সিরিয়ার বাশার আল আসাদ সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব। দেশটি দীর্ঘদিন ধরে আসাদ সরকারের উৎখাতের পক্ষে প্রচারণাও চালিয়েছে। কিন্তু ২০২৩ সালে রিয়াদ সরকার সে দেশে আয়োজিত আরব লীগের একটি বৈঠকে বাশার আল আসাদকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ সৌদি আরব। এ মাসে দেশটি সড়ক ও আকাশপথে সিরিয়ায় খাবার, থাকার ব্যবস্থা এবং ওষুধ পাঠিয়েছে। তবে শুধু ত্রাণ পাঠিয়ে নয়, বরং কিভাবে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির পুনর্গঠনে সহায়তা করা যায়, তা নিয়ে রিয়াদ এখন আলোচনা করছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা