‘এক দেশ এক নির্বাচন’ পদ্ধতির পথে ভারত
- এনডিটিভি
- ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
ভারত নিজেদের এমন এক নির্বাচনী মডেল করতে চাইছে, যেখানে নাগরিকরা একসাথে কেন্দ্রীয় সরকার ও সংশ্লিষ্ট রাজ্য (ফেডারেল) সরকার নির্বাচিত করার সুযোগ পাবে। ভারতে এ ধরনের নির্বাচনপদ্ধতির চেষ্টা এই প্রথম নয়। ১৯৪৭ সালে তারা যখন স্বাধীনতা অর্জন করে, তখন দেশটির প্রতিষ্ঠাতারা একসাথে সংসদীয় ও রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের মডেল পরিকল্পনা করেন। ১৯৫২ সালে প্রথম নির্বাচন থেকে ভারতে এভাবেই ভোট হয়ে আসছিল।
তবে সব কিছু বদলে যায় ১৯৬৭ সালে, যে বছর ভারত শেষবারের মতো ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ পদ্ধতিতে ভোট দেয়। সেই সময়ে উত্তরপ্রদেশ (সাবেক যুক্তপ্রদেশ) ছাড়া সবখানে একসাথে ভোট হয়েছিল; উত্তরপ্রদেশে ভোট হয়েছিল চার দফায়।
ওই বছরের ১৫ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ হয়। এটি ভারতের চতুর্থ নির্বাচন ছিল এবং ৫২০টি লোকসভা আসন এবং ৩,৫৬৩টি বিধানসভা আসনে লোকসভা সদস্য ও বিধায়ক নির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ করা হয়। এরপর জোট রাজনীতি তুঙ্গে ওঠে এবং শেষ পর্যন্ত দেশটিতে একযোগে ভোটের রীতির অবসান ঘটে। ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত কংগ্রেসই ছিল একমাত্র দল- যারা ভারত শাসন করেছে, কিন্তু তত দিনে তারা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও বিপর্যয়ের মুখে পড়ে।
ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওয়াহেরলাল নেহরুর মৃত্যুর পর তার মেয়ে ইন্দিরা গান্ধী প্রধান শরিকদের চাপে পড়েন। কংগ্রেস বড় আকারের ‘ক্ষমতাসীন-বিরোধী’ মনোভাবের (ক্ষমতাসীনদের বিপক্ষে ভোট) মুখে পড়ে, পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার লড়াইয়ের মুখোমুখি হয়। সব মিলিয়ে ১৯৬২ সালে চীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে হেরে যায় ভারত।
ছয় দশক পর ভারত এখন ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ পদ্ধতি ফের চালু করতে চাইছে। প্রধানমন্ত্রী নেতৃতাধীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এই প্রস্তাবে সায় দিয়েছে এবং তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিল অনুমোদন করেছে। বিলটি পাসের জন্য পার্লামেন্টের চলমান অধিবেশনে তোলা হতে পারে।
যুগপৎ ভোট ব্যবস্থা ফেরানোর আগে উচ্চপর্যায়ের একটি প্যানেল গঠন করা হয়েছিল, যার নেতৃত্বে ছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট রাম নাথ কোবিন্দ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা