গাজার খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রে হামলায় ৪ শিশু নিহত
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
# আরো ৬০ দিনের জন্য বন্ধ আলজাজিরার কার্যালয়
# ৩০ ইসরাইলি সেনাকে বিদেশ ভ্রমণ এড়াতে সতর্কবার্তা
মধ্য গাজার নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরে খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র এবং একটি বাড়িতে ইসরাইলি ড্রোন হামলায় চার শিশুসহ অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া উত্তর গাজার বেইত লাহিয়া শহরের কামাল আদওয়ান হাসপাতালে ড্রোন হামলায় অন্তত তিনজন চিকিৎসক আহত হয়েছেন। নুসাইরাতের একটি কমিউনিটি রান্নাঘরে লোকেরা খাবার সরবরাহ শুরু করার জন্য যখন এর বাইরে অপেক্ষা করছিল, তখনই হামলা চালায় দখলদার বাহিনী। খবর : আলজাজিরা ও টাইমস অব ইসরাইল।
অন্যদিকে ইসরাইলি আদালত রামাল্লায় বার্তাসংস্থা আলজাজিরার কার্যালয় আরো ৬০ দিনের জন্য বন্ধ রাখার সরকারি সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে। গত ২২ সেপ্টেম্বর ইসরাইলি বাহিনী আলজাজিরা অফিসে হামলা চালায় এবং একটি সামরিক আদেশে ৪৫ দিনের জন্য আলজাজিরাকে নিষিদ্ধ করে। অপর এক বার্তায় প্রিজনার্স অ্যাফেয়ার্স এবং প্রিজনার্স সোসাইটির কমিশন জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে দখলকৃত পশ্চিমতীরে কমপক্ষে ২২ ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যার মধ্যে দু’টি শিশু, একজন মহিলা এবং প্রাক্তন একজন বন্দী রয়েছে।
এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ ঘিরে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) ৩০ সেনাকে বিদেশ ভ্রমণ এড়াতে সতর্ক করা হয়েছে। ফিলিস্তিনপন্থী গোষ্ঠীগুলো তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ দায়ের করার পর এই সতর্কবার্তা দিয়েছে আইডিএফ। এদের মধ্যে অন্তত আটজন সাইপ্রাস, স্লোভেনিয়া ও নেদারল্যান্ডসে ভ্রমণ করেন। তাদের ওই দেশগুলো থেকে অবিলম্বে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ। কারণ সেখানে তাদের গ্রেফতার বা জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় ইয়েনেট।
তবে ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম বলছে, বর্তমানে সৈন্যদের বিদেশ ভ্রমণ নিষিদ্ধ করেনি আইডিএফ। তবে গাজাফেরত সৈন্যদের বিদেশ ভ্রমণ অনুমোদনের আগে ঝুঁকি মূল্যায়ন করে দিচ্ছে আইডিএফ। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সেনাদের গাজার ছবি বা ভিডিও অনলাইনে প্রকাশ করতে মানা করে ইসরাইলের সেনাবাহিনী। গাজায় গণহত্যার জেরে অন্য কোনো দেশে সম্ভাব্য অপরাধ তদন্ত এড়াতেই এই কৌশল ইসরাইলের। তবে সেই আদেশ অমান্য করে ইসরাইলি সেনারা তাদের ব্যক্তিগত সামাজিক মাধ্যম অ্যাকাউন্টে ভিডিও ও ছবি পোস্ট করছেন। এর ফলে আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় পড়তে পারেন তারা।
উচ্ছ্বাস ইসরাইলের
এদিকে ২০ জানুয়ারি অভিষেকের আগে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আটক ইসরাইলি বন্দীদের মুক্তি না দিলে মধ্যপ্রাচ্যকে নজিরবিহীন পরিণতি ভোগ করতে হবে। গত সোমবার এমন কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর একদিন পর মঙ্গলবার ইসরাইলি নেতারা তার এই প্রতিশ্রুতিকে স্বাগত জানিয়েছেন। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার অনেক মন্ত্রী প্রকাশ্যে ট্রাম্পকে এমন কঠোর বার্তা দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
মন্ত্রিসভার বৈঠকের শুরুতে নেতানিয়াহু বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সঠিক জায়গায় জোর দিয়েছেন : হামাসের ওপর, ইসরাইলি সরকারের ওপর নয়, যেমনটি হয়ে থাকে।’ অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ বলেছেন, কে সঠিক এবং কে ভুল, ট্রাম্পের বিবৃতি সবাইকে তা স্পষ্ট করে দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘এটি হলো বন্দীদের ফিরিয়ে আনার উপায় : হামাস ও তার সমর্থকদের চাপ দিয়ে ও তাদের ব্যয় বৃদ্ধি করে এবং তাদের অযৌক্তিক দাবিতে নতি স্বীকার না করেই তাদের পরাজিত করা।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা