আস্থা ভোটের ঝুঁকিতে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী
৫৩ শতাংশ মানুষের বিরোধিতা সত্ত্বেও বাজেট পাস- রয়টার্স ও বিবিসি
- ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
ফ্রান্সে প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে ক্ষোভের কারণে ৫৩ শতাংশ মানুষ যখন সকারের পতন চাইছে, ঠিক তখনই প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ে বিশেষ ক্ষমতা বলে পার্লামেন্টে এমপিদের ভোট ছাড়াই পাস করিয়ে নিয়েছেন তার বাজেট বিল। এর মধ্য দিয়ে বার্নিয়ে তার সরকারের আস্থা ভোটের মুখে পড়ারই ঝুঁকি নিয়েছেন। বিরোধী দলগুলো এখন সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট আনতে উদ্যত হবে। আর তা হতে পারে আজ বুধবার নাগাদই। আস্থা ভোট হলে বার্নিয়ের সংখ্যালঘু সরকারের তাতে টিকে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। অর্থাৎ, পতন ঘটতে পারে সরকারের।
প্রস্তাবিত বাজেটের লক্ষ্য- ৬ হাজার কোটি ইউরো কর বাড়িয়ে এবং ব্যয় কাটছাঁট করে ফ্রান্সের বাড়তে থাকা সরকারি ঘাটতি কমানো। নভেম্বরে পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, ৬৭ শতাংশ মানুষ এই বাজেটের বিরোধিতা করেছে। এর পরও প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ে সোমবার ফ্রান্সের সংবিধানের ৪৯.৩ আর্টিকেল কাজে লাগিয়ে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে কোনা ভোটাভুটি ছাড়াই বিলটি পাস করিয়ে নিয়েছেন।
বামপন্থী বিরোধীদল এবং কট্টর ডান-পন্থী ন্যাশনাল র্যা লি (আরএন) দলের বিরোধিতার মুখেও বার্নিয়ে এ পদক্ষেপ নেন। ফ্রান্সের কট্টর-বামপন্থী দল এলএফআই-এর নেত্রী বলেছেন, তার দল সোমবারেই আনুষ্ঠানিকভাবে আস্থা ভোট করার আবেদন জানাবে। বাম-পন্থী জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট (এনএফপি) এর কয়েকজন সদস্য ইতোমধ্যেই বলেছেন, তাদের দল বার্নিয়ের বিরুদ্ধে ভোট দেবেন। ওদিকে, আরএন-এর রাজনীতিবিদ মারিন ল্য পেন বলেছেন, তার দলের পেনশনের দাবি পূরণ না হলে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে উৎখাত করতে ভোট দেবেন।
গত সেপ্টেম্বরে ফ্রান্সে প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়েকে সরকার গড়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ। ফ্রান্সের রিপাবলিকান পার্টির (এলআর) হয়ে রাজনীতি করেছেন বার্নিয়ে। গত জুন ও জুলাইয়ে ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত আগাম জাতীয় নির্বাচনে সরকার গঠনের জন্য কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ফলে রাজনৈতিকভাবে বড় তিনটি ভাগে ভাগ হয়ে পড়ে পার্লামেন্টের জাতীয় পরিষদ। এই বিভক্তি এড়িয়ে টেকসই সরকার গঠনের চ্যালেঞ্জ নিতে হয়েছিল বার্নিয়েকে।
প্রধানমন্ত্রী বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁর পছন্দ ঘিরে অসন্তোষ দেখিয়েছিল বামপন্থী রাজনৈতিক জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট (এনএফপি)। জুলাইয়ের নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছিল দলটি। তাদের অভিযোগ ছিল, নির্বাচনে এনএফপি ভালো করলেও ডানপন্থী একজনকে প্রধানমন্ত্রী করা হচ্ছে। তারা তখনই সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দেয়ার সঙ্কল্প নিয়েছিল। তার মানে দাঁড়াচ্ছে, বার্নিয়েকে সরকার টিকিয়ে রাখতে কট্টর-ডান আরএন-এর ওপর নির্ভর করতে হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা