ইরানকে পারমাণবিক বোমা বানাতে দেবো না : নেতানিয়াহু
- এএফপি, আলজাজিরা ও ভিওএ
- ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
ইরানের পারমাণবিক বোমা ঠেকাতে সব কিছু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। বৃহস্পতিবার ইসরাইলি গণমাধ্যম চ্যানেল ১৪-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন তিনি। নেতানিয়াহু বলেন, ইরানকে পারমাণবিক শক্তিধারী হতে আমি দেবো না। সে জন্য যা যা করা দরকার, সব কিছুই আমি করব। তবুও তাদেরকে পারমাণবিক বোমা বানানো থেকে বিরত রাখব।
এ দিকে সরাইলি সামরিক বাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইসরাইল শোমার বলেছেন, ইসরাইল এখনো হিজবুল্লাহর হুমকি প্রতিহত করতে পারেনি। তিনি হিজবুল্লাহকে আবার সংগঠিত করা বন্ধ করতে ‘যেকোনো জায়গায় আঘাত করতে’ প্রস্তুত থাকতে বলেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, সত্য ‘বিজয়’ কয়েক দশকে আসার সম্ভাবনা নেই। নিউজ আউটলেট ইসরাইল হেয়োমকে তিনি বলেছেন, ‘হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে পরীক্ষা হবে বাস্তবায়ন ও অর্জন রক্ষা করার জন্য।’ তিনি আরো বলেছেন, ‘আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে এই (হুমকি) লেবাননে বা গাজায় ফিরে না আসে। এবং যদি তা হয়, আমাদের অবশ্যই ভেতরে ঢুকে আঘাত করতে হবে।’
এ দিকে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ছয়টি এলাকায় বৃহস্পতিবার ট্যাঙ্ক থেকে গুলিবর্ষণ করেছে ইসরাইল। ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর অভিযোগ, হিজবুল্লাহর সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘিত হয়েছে। তাদের দাবি, দক্ষিণাঞ্চলে বেশ কিছু এলাকায় সন্দেহভাজন লোকজন হাজির হয়, কেউ কেউ গাড়িতে আসে। যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় বুধবার থেকে ইসরাইল ও লেবাননের হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়। দীর্ঘ ১৪ মাস ধরে লড়াইয়ে বিধ্বস্ত সীমান্ত অঞ্চলে উভয় দেশের মানুষ যেন বাড়িতে ফিরতে পারে তা নিশ্চিত করাই এই চুক্তির লক্ষ্য।
সীমান্তসংলগ্ন শহরগুলোতে বাসিন্দাদের নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থেই এখনই না ফিরতে অনুরোধ করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। লেবাননের নিরাপত্তা সূত্র ও রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম বলেছে, বৃহস্পতিবার সকালে সীমান্তের ছয়টি এলাকায় ট্যাঙ্ক থেকে গুলিবর্ষণ করেছে ইসরাইল।
লেবানন ও ইসরাইলের মধ্যবর্তী ‘ব্লু লাইন’ সীমান্তরেখার দুই কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে মারকাবা, ওয়াজানি, কেফারচুবা, খিয়াম, তায়বে ও মারজাউনের বিস্তীর্ণ কৃষিক্ষেত্র। এসব এলাকায় হামলা চালানো হয়েছে। নিরাপত্তা সূত্রদের একজন বলেছেন, মারকাবাতে দু’জন আহত হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্তের কাছে নিজেদের বাড়ি থেকে চ্যুত লেবাননের পরিবারগুলো তাদের সম্পত্তি খতিয়ে দেখার জন্য ফেরার চেষ্টা করেছে। তবে সীমান্ত বরাবর শহরগুলোতে (লেবাননের ভূখণ্ডের মধ্যেই) সৈন্য মোতায়েন রেখেছে ইসরাইল। লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের নানা প্রান্তের ওপর দিয়ে নজরদারি ড্রোনের শব্দ শুনেছেন রয়টার্সের সংবাদদাতারা। ট্যাঙ্কের টহলদারি নিয়ে হিজবুল্লাহ বা ইসরাইলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য আসেনি। গাজায় যুদ্ধের সমান্তরালে এই দু’পক্ষ এক বছরের বেশি ধরে লড়াই করছে। সঙ্ঘাত-দীর্ণ এ অঞ্চলে এক বিরল কূটনৈতিক কৃতিত্ব এই চুক্তি ইসরাইল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে বছরের পর বছর ধরে চলা ভয়াবহ সঙ্ঘাতকে স্থগিত করে দিয়েছে। তবে ইসরাইল গাজা ভূখণ্ডে তাদের আরেক প্রধান শত্রু ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের বিরুদ্ধে এখনো লড়াই করছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা