নিউ ইয়র্কে থ্যাংকসগিভিং প্যারেডে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ
- রয়টার্স
- ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
নিউ ইয়র্কে থ্যাংকসগিভিং প্যারেডে সাময়িকভাবে বিঘœ ঘটানোর জন্য ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভকারী একদল লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) তারা প্যারেডের পথে রোনাল্ড ম্যাকডোনাল্ড ফ্লোটের সামনে বসে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে তাদের আটক করা হয়। নিউ ইয়র্ক পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীদের কোনো ঘটনা ছাড়াই আটক করা হয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। থ্যাংকসগিভিংয়ের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ বার্ষিক এই প্যারেডটি যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হয়। বিশাল আকারের কার্টুন চরিত্রের বেলুন, মার্চিং ব্যান্ড ও জনপ্রিয় গানের পরিবেশনায় সাজানো এই প্যারেড দেখতে হাজারো মানুষ ম্যানহাটনের রাস্তায় ভিড় জমায়।
রয়টার্সের ছবিতে দেখা যায়, প্রায় ২০ জন বিক্ষোভকারী বৃষ্টির মধ্যে রাস্তায় বসে ছিলেন। তাদের পেছনে থাকা অন্যরা ‘গণহত্যা বন্ধ কর’ ও ‘অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা দাও, এখনই’ লেখা ব্যানার উঁচু করে ধরেছিলেন। প্রথমে ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ বিক্ষোভকারীদের স্থান ত্যাগের পরামর্শ দেয়। পরে পুলিশের আরেকটি দল সেখানে পৌঁছে বিক্ষোভকারীদের সাথে হাতাহাতিতে লিপ্ত হয় ও তাদের আটক করে। নিউ ইয়র্ক পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ প্যারেড শুরুর আগে এনবিসি টেলিভিশনকে বলেন, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের প্রত্যাশা না করলেও সবকিছুর জন্য প্রস্তুত ছিল। তিনি আরো বলেছেন, আমাদের নিরাপত্তাব্যবস্থা পর্যাপ্ত। কুকুর, ড্রোনসহ সম্পূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্যারেডের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা গাজায় চলমান যুদ্ধ নিয়ে ইসরাইলের ভূমিকার প্রতিবাদ করছিলেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের যোদ্ধারা ইসরাইলে হামলা চালিয়ে এক হাজার ২০০ জনকে হত্যা ও ২৫০ জনকে জিম্মি করার পর এই যুদ্ধ শুরু হয়। হামাসের হামলার জবাবে ইসরাইলের পরিচালিত গাজা আগ্রাসনে স্থানীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী ৪৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন ও ২৩ লাখ জনসংখ্যার বেশিরভাগ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এতে খাদ্যসঙ্কটসহ গণহত্যার অভিযোগ উঠে এসেছে, যা ইসরাইল অস্বীকার করেছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা