উত্তরপ্রদেশে মসজিদে ‘সার্ভে’ ঘিরে সংঘর্ষের পর স্কুল-ইন্টারনেট বন্ধ
- এনডিটিভি
- ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
ভারতে উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে মুগল যুগের একটি প্রাচীন মসজিদে ‘সার্ভে’ বা সমীক্ষা করানোর নির্দেশকে ঘিরে স্থানীয় জনতা ও পুলিশের মধ্যে রোববার দফায় দফায় তীব্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে অঞ্চলটিতে স্কুল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার জন্য সম্ভল তহসিলে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং জেলা প্রশাসন ২৫ নভেম্বর ১২ শ্রণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য ছুটি ঘোষণা করে।
এ ছাড়া কর্মকর্তারা বহিরাগত, সোশ্যাল অর্গানাইজেশন বা জনপ্রতিনিধিকে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া অঞ্চলটিতে প্রবেশে নিষেধ করেছেন। রোববারের সহিংসতায় আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন পুলিশের সদস্য। ঘটনার পর পুরো এলাকায় তীব্র সাম্প্রদায়িক উত্তেজনাও ছড়িয়ে পড়েছে। শহরের যে মসজিদটিকে ঘিরে এই বিরোধ, সেটি ‘শাহী জামে মসজিদ’ নামে পরিচিত।
ঘটনার বিস্তারিত সম্পর্কে জানা যায়, হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলোর দাবি, প্রাচীন একটি হিন্দু মন্দির ভেঙেই এই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল, ওই ভবনের স্থাপত্যে এখনো যার প্রমাণ রয়েছে। এই দাবিকে কেন্দ্র করে হিন্দু ও মুসিলম গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে আদালতে আইনি লড়াইও চলছে দীর্ঘ দিন ধরে। সম্প্রতি আদালত ওই মসজিদ প্রাঙ্গণে সার্ভে করানোর নির্দেশ দেয়ার পর থেকেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়।
ওই মসজিদ ভবনটিতে আগে কোনো হিন্দু মন্দিরের অস্তিত্ব ছিল কি না- সেটা যাচাই করে দেখার জন্যই ওই সার্ভের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। সম্ভালের পুলিশের ভাষ্যানুযায়ী, রোববার সকালে প্রশাসনের একজন ‘অ্যাডভোকেট কমিশনারে’র নেতৃত্বে একটি সার্ভে টিম মসজিদে তাদের কাজ শুরু করতেই বাইরে বিরাট জনতা জড়ো হয়ে যায় এবং প্রায় সাথে সাথেই সহিংসতা শুরু হয়ে যায়। পুলিশ বলছে, প্রায় এক হাজার মানুষ তখন মসজিদের বাইরে ছিল- যারা তাদের ভেতরে ঢুকতে বাধা দিতে থাকে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন পুলিশ কর্মীদের লক্ষ্য করে পাথর ও ইটপাটকেল ছোড়া হতে থাকে। ক্ষুব্ধ ও উত্তেজিত জনতা রাস্তায় অন্তত ১০টি গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশ বাহিনীও জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে ও লাঠিচার্জ শুরু করে। এরপর ব্যাপক সহিংসতায় অন্তত চার জন নিহত হয় এবং ৩০ জন পুলিশ কর্মীও জখম হন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা