আইসিসির রায়কে অশ্রদ্ধা হাঙ্গেরির
- টাইমস অব ইসরাইল
- ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে হাঙ্গেরিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতের (আইসিসি) গ্রেফতারি পরোয়ানার মধ্যে এই মন্তব্য বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচারের বিষয়ে হাঙ্গেরির অবস্থান এবং ইসরাইলের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
অরবান বলেছেন, তিনি গ্যারান্টি দেবেন যে হাঙ্গেরির মাটিতে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর হবে না। অর্থাৎ তার সরকার এই রায়ের বিধান মানবে না। একই সাথে নেতানিয়াহুকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। অরবান ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো তার জাতীয়তাবাদী মতামত এবং নেতানিয়াহুর প্রতি তার সরকারের ধারাবাহিক সমর্থনের জন্য পরিচিত। এ ছাড়া নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আইসিসির পরোয়ানাকে ভুল বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হাঙ্গেরি আন্তর্জাতিক ফোরামে, বিশেষ করে ইসরাইলের সামরিক অভিযানের প্রেক্ষাপটে প্রায়ই নেতানিয়াহুর পাশে দাঁড়িয়েছে। অরবানের বর্তমানে ইইউর সভাপতি। ইইউ সবসময় ইসরাইলের আগ্রাসী নীতির সোচ্চার সমালোচক। হাঙ্গেরিকে ইইউ’র মধ্যে ইসরাইলের অন্যতম শক্তিশালী মিত্র হিসেবে ভাবা হয়।
এদিকে নেতানিয়াহু এবং দেশটির সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আইসিসির গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির তীব্র সমালোচনা করেছে মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। তবে আইসিসির এই রায়কে আইনি বিষয় হিসেবে সম্মান জানানো উচিত বলেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল। জোসেপ বোরেল বলেছেন, আদালতের রায় একটি আইনি বিষয়, এটি কোনো রাজনৈতিক বিষয় নয়। তার ভাষ্য, সদস্য দেশগুলোর উচিত গ্রেফতারি পরোয়ানাকে সম্মান করা, একই সাথে এটি বাস্তবায়ন ও বহাল রাখা উচিত। বোরেল আরো বলেন, গাজার ট্র্যাজেডি বন্ধ করতে হবে।
আইসিসি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করায় আন্তর্জাতিক এই আদালতের তীব্র সমালোচনা করেছেন নেতানিয়াহু। এমনকি ইসরাইলের অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য আইসিসির এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে।