গাজা ও লেবাননে সামগ্রিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জি২০ নেতাদের
- রয়টার্স
- ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
- বন্দী মুক্ত করার শর্তে স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধের আহবান
- গাজার ‘বিপর্যয়কর মানবিক পরিস্থিতি’ নিয়ে উদ্বেগ
গাজা ও লেবাননে ‘সামগ্রিক’ যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন জি২০ অর্থনীতির শীর্ষ নেতারা। সেই সাথে জলবায়ু পরিবর্তন, দারিদ্র্য দূরীকরণ ও অতি ধনীদের ওপর কর আরোপের জন্য সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন তারা। সোমবার আর্জেন্টিনার রিও ডি জেনেরিওতে এই অর্থনৈতিক ফোরামের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গাজায় ‘সামগ্রিক’ যুদ্ধবিরতির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত জাতিসঙ্ঘ প্রস্তাবের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যেখানে হামাসের হাতে আটক সব বন্দীকে মুক্ত করার শর্তে স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে।
বৈঠকে গাজার ‘বিপর্যয়কর মানবিক পরিস্থিতি’ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নেতারা। এ ছাড়া লেবাননে ‘উত্তেজনার বৃদ্ধি’ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে সীমান্তের উভয় পাশের নাগরিকদের নিরাপদে বাড়ি ফিরতে সহায়তা করার জন্য একটি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়েছে। বৈঠক তীব্র বৈশ্বিক উত্তেজনার মাঝে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে বহুপক্ষীয় ঐক্যকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করেন নেতারা। জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের বিষয়টিও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল।
দুই দিনের সম্মেলনের প্রথম দিনে ইউক্রেনের ইস্যুটি প্রাধান্য পায়। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহে কিয়েভকে রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলার সবুজ সঙ্কেত দেয়ার বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। চূড়ান্ত ঘোষণাপত্রে জি২০ নেতারা ইউক্রেন বিষয়ে সঙ্কীর্ণ ঐক্যে পৌঁছান, যেখানে ‘সামগ্রিক, ন্যায়সঙ্গত এবং স্থায়ী শান্তি’ প্রতিষ্ঠায় প্রাসঙ্গিক ও গঠনমূলক উদ্যোগকে স্বাগত জানানো হয়েছে। তবে এতে রাশিয়ার আগ্রাসনের কথা উল্লেখ করা হয়নি।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানার কারণে উপস্থিত সদস্য দেশগুলো রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে গ্রেফতারের আহ্বান জানানোর কারণে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না তিনি তবে পুতিনের পরিবর্তে, রাশিয়ার পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ অংশ নেন। সম্মেলনে বামপন্থী ব্রাজিলিয়ান প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা দারিদ্র্য এবং ক্ষুধার বিষয়টিকে কেন্দ্রে রেখেছেন। চূড়ান্ত ঘোষণায় ‘অতি ধনীদের’ ওপর কর আরোপের জন্য কার্যকর সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়েছে।
গরিব পরিবারে জন্ম নেয়া লুলা সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তৃতায় দারিদ্র্য ও ক্ষুধার বিরুদ্ধে একটি বৈশ্বিক উদ্যোগ উন্মোচন করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এগুলো ‘সীমাবদ্ধতা বা প্রাকৃতিক ঘটনাগুলোর’ ফল নয়, বরং ‘রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের’ ফল।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা