গাজায় গণহত্যা বন্ধে মুসলিম দেশগুলো ব্যর্থ : এরদোগান
- ডেইলি সাবাহ
- ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান মুসলিম দেশগুলোর কড়া সমালোচনা করে বলেছেন, তারা ব্যর্থ। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অরগানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) ও আরব লিগের একটি যৌথ শীর্ষ বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন। বৈঠকে গাজায় চলমান গণহত্যা মোকাবেলায় মুসলিম দেশগুলোর প্রতিক্রিয়ার অভাবের সমালোচনা করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। তিনি মনে করেন, যখন কিছু পশ্চিমা দেশ ইসরাইলকে পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছে তখন আরব দেশগুলোর ভূমিকা অসার।
এরদোগান বলেন, মুষ্টিমেয় কিছু পশ্চিমা দেশ ইসরাইলকে সব ধরনের সামরিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নৈতিক সমর্থন দিয়েছে। অথচ মুসলিম দেশগুলো পর্যাপ্ত প্রতিক্রিয়া জানাতে ব্যর্থতার কারণে পরিস্থিতি এ পর্যায়ে পৌঁছেছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইসরাইলের লক্ষ্য হলো গাজায় বসতি স্থাপন করা। পূর্ব জেরুসালেমসহ পশ্চিমতীরে ফিলিস্তিনিদের উপস্থিতি দূর করা এবং শেষ পর্যন্ত এই অঞ্চলকে তাদের ভূখ- হিসেবে সংযুক্ত করা। এই লক্ষ্যের দিকে ধীরে ধীরে এগোচ্ছে ইসরাইল। আমাদের অবশ্যই এটি প্রতিরোধ করতে হবে।
এরদোগান বলেন, ইসরাইল এ পর্যন্ত গাজা ও অন্যান্য ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে প্রায় অর্ধ লাখ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। যাদের মধ্যে ৭০ শতাংশ নারী ও শিশু। যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকাটিতে মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য জরুরি সমাধানের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে এরদোগান বলেন, ইসরাইল গাজায় মানবিক ত্রাণ বিতরণ সহ্য করতে পারছে না। তুরস্ক যেসব ত্রাণ পাঠাচ্ছে সেসব কয়েক মাস ধরে মিসরে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। এরদোগানের তথ্য মতে, আঙ্কারা এ পর্যন্ত গাজায় ৮৪ হাজার টনেরও বেশি সাহায্য পাঠিয়েছে এবং নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে আরো অনেক কিছু পাঠাতে প্রস্তুত। মুসলিম দেশগুলোকেও এ কাজে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
সৌদি যুবরাজের সাথে বৈঠক
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সথে বৈঠক করেছেন সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। সোমবার বৈঠকটি সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) ও আরব লিগের যৌথ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে তুরস্ক ও সৌদি আরবের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া প্রেসিডেন্ট এরদোগান ফিলিস্তিন ও লেবাননে ইসরাইলের হামলা থামানোর জন্য মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য ও সংহতির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, ইসরাইলের ওপর চাপ প্রয়োগের জন্য মুসলিম দেশগুলোকে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। সেই সাথে তিনি ইসরাইলের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা এবং দেশটির সাথে বাণিজ্য বন্ধ রাখার প্রস্তাব দেন।