ইসরাইলি হামলায় গাজায় এক পরিবারের সবাই নিহত
- আলজাজিরা
- ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
ফিলিস্তিনের গাজার জাবালিয়া উদ্বাস্তু শিবিরে ইসরাইলের বিমান হামলায় ১৩ শিশুসহ অন্তত ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন একই পরিবারের মা-বাবা, সন্তান, নাতি-নাতনিসহ সব সদস্য। গাজার স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৬টায় উদ্বাস্তু শিবিরটিতে ওই হামলা চালানো হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিহত ব্যক্তিরা ওই শিবিরের বাসিন্দা। পূর্ব সতর্কতামূলক কোনো বার্তা ছাড়াই ইসরাইল উদ্বাস্তু শিবিরের একটি ভবনে এ হামলা চালায়। ওই সময় লোকজন ভবনের ভেতরে অবস্থান করছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভবনটিতে থাকা বাসিন্দাদের অনেকেই ছিলেন শিশু ও নারী। তাঁরা উত্তর গাজা থেকে ঘরবাড়ি হারিয়ে এখানে এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
গাজার বিভিন্ন এলাকা থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে আশ্রয় শিবিরে ঠাঁই নেয়া সাধারণ মানুষও যে ইসরাইলের বোমা হামলা থেকে বাঁচতে পারছেন না, এ ঘটনা তারই উদাহরণ। ৭ অক্টোবর ২০২৩ সাল থেকে গাজায় ইসরাইলের হামলায় কমপক্ষে ৪৩ হাজার ৬০৩ ফিলিস্তিনি নিহত এবং এক লাখ দুই হাজার ৯২৯ জন আহত হয়েছে।
হামাসের সাথে বন্দী বিনিময় চুক্তির দাবিতে ইসরাইলীদের বিক্ষোভ
হামাসের কাছে ইসরাইলিদের বন্দী হওয়ার ৪০০তম দিন পূর্ণ হয়েছে গত শনিবার। এ দিন বন্দিমুক্তি বিনিময় চুক্তি নিশ্চিত করার দাবিতে তীব্র বিক্ষোভ হয়েছে ইসরাইলে। স্বজনদের দাবি, একমাত্র চুক্তিই তাদের প্রিয়জনকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে পারে। গত বছরের অক্টোবরে হামাসের হামলায় ইসরাইলি প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, কয়েক ডজন বেসামরিক ও সৈন্যকে হত্যা ও বন্দী করে গাজায় নেয়া হয়। এ বন্দীদের যেখানে রাখা হয়েছে, সেখানে চলমান সংঘর্ষ ও অবরোধের কারণে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়েছে।
বন্দীদের মধ্যে অনেককে গাজায় ভয়ানক পরিস্থিতিতে রাখা হয়েছে বলে মনে করা হয়, যা হামাসের কর্মকাণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলি বিমান হামলা এবং সামরিক অভিযান দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। ৪০০তম দিন, বন্দীদের পরিবারের জন্য জন্য হতাশার, আবেগেরও। অনেকেই কূটনৈতিক এবং সামরিক উপায়ে তাদের প্রিয়জনের মুক্তির পক্ষে কথা বলছেন। এই বিক্ষোভ থেকে পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে হতাশা প্রকাশ করেছেন তারা।
বন্দিমুক্তি নিয়ে ইসরাইলি সরকার, অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিকভাবে উভয়ই চাপের মধ্যে রয়েছে। এক দিকে বন্দিবিনিময়ের জন্য জনসাধারণের আহ্বান এবং অন্য দিকে এই ধরনের বিনিময় প্রক্রিয়ায় জটিল নিরাপত্তা এবং রাজনৈতিক প্রভাব মোকাবেলা করতে হচ্ছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে।