ইসরাইলের অনুকূলে দেয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব মানতে অস্বীকৃতি
- সিএনএন
- ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে কাতার ত্যাগ করার নোটিশ দিয়েছে দেশটির সরকার। প্রায় এক সপ্তাহ আগে এই নোটিশ দেয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন কাতারের একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা। ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গাজায় শান্তি স্থাপনের জন্য সর্বশেষ ‘ইসরাইলের অনুকূলে দেয়া’ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব মেনে না নেয়া এবং অবশিষ্ট বন্দীদের মুক্তি দিতে হামাস অস্বীকৃতি জানানোয় যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে এই পদক্ষেপ নিয়েছে দোহা। দু’সপ্তাহ আগে হামাসকে প্রস্তাবের খসড়া পাঠানো হয়েছিল।
“২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের অভিযানে নিহতদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরাও ছিল। যাদের বন্দী হিসেবে ধরে নিয়ে গেছে হামাস, তাদের মধ্যেও মার্কিন নাগরিকরা রয়েছে। যুদ্ধবিরতির সর্বশেষ প্রস্তাব এবং বন্দীদের মুক্তি দেয়ার জন্য দু’সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্র হামাসকে আহ্বান জানিয়েছিল; কিন্তু হামাস তাতে সায় দেয়নি। তারপর ওয়াশিংটন কাতার সরকার বরাবর অনুরোধ করে যে হামাসকে যেন (দোহা ত্যাগের) নোটিশ দেয়া হয়। আমরা সেই অনুরোধে সাড়া দিয়েছি।”
তবে নোটিশ দেয়া হলেও কত দিনের মধ্যে হামাস নেতাদের দোহা ছাড়তে হবে- এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য জানাতে অপারগতা জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
১৯৮৮ সালে প্রতিষ্টিত হামাস সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষপাতি। পাশাপাশি দ্বিরাষ্ট্র সমাধান নীতিতেও’ তাদের আস্থা নেই। ২০০৬ সালের নির্বাচনে জিতে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নেয় রাজনৈতিক দল হামাস। তারপর আর নির্বাচন হয়নি গাজায়।
তবে গাজা শাসন করলেও হামাসের শীর্ষ নেতৃত্বের কেউ সেখানে থাকেন না। যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবের ভিত্তিতে ২০১২ সাল থেকে কাতারে অবস্থান করছেন হামাসের শীর্ষ নেতারা। দলটির রাজনৈতিক শাখার প্রধান দফতরও দোহায় অবস্থিত। এ ছাড়া কাতার হামাসের সবচেয়ে বড় আর্থিক সহায়তা দাতা দেশ। ২০২৩ সালে হামলার আগ পর্যন্ত হামাসকে প্রতি বছর গড়ে ১৮০ কোটি ডলার সহায়তা দিয়েছে কাতার।
তবে ইসরাইলে হামলা ও গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর বন্দীদের মুক্তি দিতে হামাস নেতাদের অনমনীয় মনোভাব হামাস ও দোহার সম্পর্কে শীতলতা সৃষ্টি করে। এর আগে গত এপ্রিল মাসে হামাসকে দোহা ত্যাগ করার ইঙ্গিত দিয়েছিল কাতার। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে সে সময় কাতারের এক সরকারি কর্মকর্তা বলেছিলেন, “গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত সংলাপ কার্যত থেমে আছে এবং শিগগিরই আবার তা শুরু হবে- এমন সম্ভাবনা এই মুহূর্তে খুবই কম।