০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, empty
`

ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধানে ঐক্যের আহ্বান এরদোগানের

-

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসনের ফিলিস্তিনি সমস্যার ন্যায্য সমাধানকে সমর্থন করার জন্য তুর্কি দেশগুলোর মধ্যে ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার বিশকেকে অনুষ্ঠিত হওয়া তুরস্ক-কিরগিজিস্তান উচ্চ-স্তরের কৌশলগত সহযোগিতা পরিষদের ষষ্ঠ বৈঠকে এ আহ্বান জানান।
কিরগিজিস্তানে সমবেত হওয়া তুর্কি নেতারা অর্গানাইজেশন অব তুর্কিক স্টেটস (ওটিএস)-এর রাষ্ট্র প্রধানদের কাউন্সিলের ১১তম শীর্ষ সম্মেলনে গাজা আবারো আলোচনার শীর্ষে ছিল। এরদোগান তার ভাষণে বলেন, তুর্কি জাতি হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা ফিলিস্তিন সমস্যার একটি স্থায়ী ও ন্যায্য সমাধানের জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব। এরদোগান কিরগিজিস্তানের সাথে যৌথভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তুরস্কের প্রতিশ্রুতিও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই নিরবচ্ছিন্নভাবে চলবে। এর আগে এরদোগানকে কিরগিজ প্রেসিডেন্ট সাদির জাপারভ আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বাগত জানান। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তুর্কি রাষ্ট্রগুলোর রাষ্ট্রপ্রধান কাউন্সিলের ১১তম শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে সোমবার কিরগিজিস্তানে পৌঁছেছেন।
তুরস্কের সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি জানায়, আগের দিন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান নিজেদের মধ্যে মতভেদকে দূরে সরিয়ে রেখে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি ফিলিস্তিনি ও লেবাননের জনগণের ওপর ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দিয়েছেন। সোমবার ইস্তাম্বুলে একটি অনুষ্ঠানে এই কথা বলেছেন তিনি।
এরদোগান ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতার জন্য স্থায়ী কমিটির ৪০তম অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সে সময় তিনি বলেন, ‘গাজা উপত্যকায় শতাব্দীর সবচেয়ে নৃশংস গণহত্যা সংঘটিত হচ্ছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘মুসলিম বিশ্বের উচিত সব মতভেদ বর্জন করে ফিলিস্তিনি ও লেবাননের জনগণকে সমর্থন করা। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
তুর্কি নেতা বলেন, ইহুদিবাদী শাসক ও তার সমর্থকরা ১৩ মাস ধরে গাজা ও পশ্চিম তীরে সব ধরনের নিপীড়ন ও গণহত্যা চালিয়েছে। কিন্তু তারা ফিলিস্তিনিদের দমন করতে পারেনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা বর্তমানে একটি অমানবিক ঘটনা প্রত্যক্ষ করছি যা ইউরোপের কেন্দ্রস্থলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় স্থাপিত ইহুদি নির্মূল শিবিরগুলোর নাৎসি নৃশংসতাকেও ছাড়িয়ে গেছে। প্রথমে গাজা এবং গত ৬ সপ্তাহ ধরে লেবাননে এসব অমানবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে ইসরায়েলিরা।’
প্রেসিডেন্ট এরদোগান উল্লেখ করেন, তুরস্ক ইসরাইলের সাথে বাণিজ্য লেনদেন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করেছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে তার দেশের ৯.৫ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। তার পরও তিনি এ সিদ্ধান্তে অবিচল থাকবেন। তিনি বলেন, গাজা ও লেবাননের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী আগ্রাসনের সবচেয়ে ভালো জবাব হচ্ছে আরো বেশি দেশের ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়া। তিনি বলেন, ‘আজ আবারো আমি আমার ফিলিস্তিনি ভাই ও বোনদের অভিবাদন জানাই। তারা সব ধরনের লাঞ্ছনা, বঞ্চনা এবং নির্যাতন সহ্য করেও দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছে।


আরো সংবাদ



premium cement