২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৩ কার্তিক ১৪৩১, ২৫ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

ফিলিস্তিনে ইসরাইলী শাসনের চিন্তা বাদ দেয়া উচিত : গ্যালেন্ট

-


ইসরাইল যুদ্ধের মূল লক্ষ্য থেকে সরে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। ইরানে সর্বশেষ হামলার কয়েকঘণ্টা আগে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে লেখা চিঠিতে এ কথা বলে সতর্ক করেছেন তিনি। বিগত একবছরে উদ্ভূত আঞ্চলিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিজেদের মনোযোগ পুনর্র্নিধারণ করা দরকার বলে গ্যালান্ট দাবি করেছেন। গ্যালান্ট বলেছেন, ইসরাইলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ‘সেকেলে’ হয়ে গেছে। তাদের উচিত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলা হওয়ার আগের পন্থায় ফেরত যাওয়া।
তিনি বলেছেন, যুদ্ধের প্রকৃতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে। যেমন ইরানের সঙ্গে তারা সরাসরি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে। এখন তাদের উচিত যুদ্ধের বিভিন্ন ফ্রন্ট ও তাদের আন্তঃসম্পর্ক বিবেচনায় নিয়ে সমন্বিত একটা পরিকল্পনা তৈরি করা এবং আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধের লক্ষ্য পুনর্বিবেচনা করা। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাস হামলা করলে গাজা যুদ্ধের শুরু হয়। ওইদিন প্রায় ২৫০ জন ইসরাইলিকে জিম্মি করে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে নিয়ে যায় হামাস। প্রাথমিকভাবে তাই হামাসের ধ্বংস ও বন্দীদের মুক্তি ছিল যুদ্ধে ইসরাইলের মূল লক্ষ্য।
কিন্তু যুদ্ধে ইরান ও তার প্রক্সিরা জড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি পালটে যেতে থাকে। ইসরাইলের দাবি অনুযায়ী, তারা এখন সাতটি ফ্রন্টে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। লেবানন সীমান্তবর্তী উত্তরাঞ্চলীয় ইসরাইলের বাসিন্দাদের ঘরে ফিরিয়ে নেয়াও এখন তেল আবিবের লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে। এ উদ্দেশ্যে লেবাননের প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহকে নিশ্চিহ্ন করার অভিপ্রায়ে লেবাননে মাসখানেক ধরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তারা।

ইসরাইলের যুদ্ধের লক্ষ্য আপডেট করতে কয়েকটি আলাদা ক্ষেত্র তুলে ধরেছেন গ্যালান্ট। তার মতে, পশ্চিমতীরে ‘সন্ত্রাসবাদ’ দমন করে নৃশংসতা প্রতিরোধের পদক্ষেপ নিতে হবে ইসরাইলকে। আর ইরানকে যুদ্ধের বাইরে রাখা প্রয়োজন। এ ছাড়া গাজায় উচিত ‘কোনো সামরিক হুমকি ছাড়া একটি সমাধান খুঁজে বের করা, সন্ত্রাসবাদের সক্ষমতা হ্রাস করা, সমস্ত বন্দীকে ফিরিয়ে আনা এবং হামাস সরকারের বিকল্প নিয়ে প্রচারণা চালানো।’ অবশ্য হামাস নিশ্চিহ্ন করতে বদ্ধপরিকর ইসরাইল হামাস সরকারের কোনো বিকল্প নিয়ে ভাবতে রাজি নয়।
এ নীতির জন্যই প্রকাশ্যে নেতানিয়াহুর সমালোচনা করেছেন গ্যালান্ট। তিনি বলেছেন, যুদ্ধের পর ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলি শাসন প্রতিষ্ঠার চিন্তা বাদ দেয়া উচিত। অন্য দিকে, কট্টর ডানপন্থীদের দাবি হলো গাজায় ইসরাইলি বসতি গড়ে তুলতে হবে। গ্যালান্টের দাবি খুব একটা সমাদর পায়নি সরকারের কাছে। নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পরামর্শকে ‘উদ্ভট’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধের লক্ষ্য ঠিকই আছে। মন্ত্রিসভা যুদ্ধের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়মিত পর্যালোচনা করে ও সম্প্রতি তার পরিধি বৃদ্ধি পেয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
পাচারের অর্থ ফেরাতে কাজ শুরু নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সব ধরনের সহযোগিতা করবে সৌদি সরকার আওয়ামী লীগসহ ১১টি রাজনৈতিক দল বন্ধে সারজিস-হাসনাতের রিট হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী শতাধিক অপরাধের অভিযোগ সার্কের স্বপ্ন বাস্তবায়নের চেষ্টা করবো ইরান সব অস্ত্র দিয়ে ইসরাইলি হামলার জবাব দেবে ২৮ অক্টোবর মানবতাবিরোধী অপরাধের নিকৃষ্টতম দিন : ডা: শফিক সমালোচনার মধ্যেই চট্টগ্রামে আজ শুরু দ্বিতীয় টেস্ট রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় ভিডিপিতে অস্থিরতা তৈরির পাঁয়তারা চলছে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সক্ষম আমের বীজ সাদ্দাম-ইনানসহ ছাত্রলীগের ২২০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

সকল