১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩০, ১৪ রবিউস সানি ১৪৪৬
`
সংবিধান সংশোধন

দক্ষিণকে শত্রু-রাষ্ট্র আখ্যা উত্তর কোরিয়ার

-

উত্তর কোরিয়ার সংবিধানে এবার ‘শত্রু-রাষ্ট্র’ তকমা দেয়া হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়াকে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম গতকাল বৃহস্পতিবার একথা জানিয়েছে। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র রোডং সিনমুন দুই কোরিয়ার মধ্যে বতর্মানে উত্তেজনা তুঙ্গে থাকার এ সময়ে পিয়ংইয়ংয়ের সংবিধান পরিবর্তনকে ‘অনিবার্য এবং বৈধ’ পদক্ষেপ বলে সমর্থন জানিয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন ২০২৩ সালেই ঘোষণা করেছিলেন যে, তিনি আর দক্ষিণের সাথে একত্রীকরণের চেষ্টায় নেই। এ বছর জানুয়ারিতে দক্ষিণ কোরিয়াকে ‘এক নম্বর শত্রু রাষ্ট্র’ আখ্যা দিয়ে সংবিধানে পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কিম। সে পথে হেঁটেই এবার সংবিধান সংশোধনের বিষয়টি নিশ্চিত করলেন তিনি।
এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পদক্ষেপ ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করার অংশ হিসেবে মঙ্গলবার আন্তঃকোরিয়া সড়ক এবং রেললাইনের একাংশ উড়িয়ে দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দুই কোরিয়ার মধ্যকার কড়া নিরাপত্তাধীন সীমান্তে উত্তর কোরিয়া তাদের অংশে এ সড়ক উড়িয়ে দেয়। দক্ষিণের সাথে একত্রীকরণ না চাওয়ার ঘোষণা কিম জং-উন গত বছর ডিসেম্বরেই দিয়ে দেয়ায় কিছু পর্যবেক্ষক এবারে উত্তর কোরিয়ার সংবিধান সংশোধনকে মূলত প্রতীকী পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।
কিম এ বছর জানুয়ারিতেই দক্ষিণের সাথে একত্রীকরণ আর সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন। তারপর থেকেই দুই কোরিয়ার মধ্যে একের পর এক বাকযুদ্ধ চলে আসছে। বিশেষ করে গত কয়েক মাসে উত্তেজনা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। র‌্যান্ড করপোরেশনের প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক ব্রুস বেনেট বলেন ‘২০২৩ সালের শেষের দিকের ঘোষণার পর থেকে সঙ্ঘাতের ঝুঁঁকি এবং সঙ্ঘাত বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে।’
তখন থেকেই কিম ও তার বোন দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি পারমাণবিক বিস্ফোরণের হুমকি দিয়েছেন। নানা পদক্ষেপের মাধ্যমে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলেছেন। তবে অনেকে আশা করেছিলেন, পিয়ংইয়ং গত সপ্তাহে সুপ্রিম পিপলস অ্যাসেম্বলির (এসপিএ) বৈঠকে একত্রীকরণ এবং সীমান্ত নীতিতে সাংবিধানিক সংশোধনী আনবে। কিন্তু এ ধরনের কোনো পরিবর্তন এখনো প্রকাশ্যে আসেনি।


আরো সংবাদ



premium cement