ইলন মাস্কের স্পেস এক্সের নিরাপদে অবতরণ
- রয়টার্স
- ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেস এক্স মঙ্গল গ্রহ ও চাঁদে মানুষ এবং মালামাল বহনের জন্য তৈরি ‘স্টারশিপ’ রকেটের পঞ্চম পরীক্ষা চালিয়েছে টেক্সাস থেকে। আর এবারই প্রথম প্রতিষ্ঠানটি সফলভাবে এ রকেটের ‘সুপার হেভি বুস্টার’-কে উৎক্ষেপণ প্যাডে নিরাপদে অবতরণ করাতে পেরেছে। বিশ্বে তৈরি হওয়া এ যাবৎকালের সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট স্টারশিপের দু’টি অংশ। একটি হচ্ছে ‘সুপার হেভি বুস্টার’ নামের তরল গ্যাসের জ্বালানিচালিত রকেট। আর অপর অংশটি হলো ‘স্টারশিপ’ নামের মহাকাশযান- যা এ ‘সুপার হেভি বুস্টারের ওপর বসানো আছে’।
স্টারশিপ রকেট ১০০ টনের বেশি যন্ত্রপাতি বা ১০০ জন আরোহী বহন করতে পারে। আর সুপার হেভি বুস্টারে আছে ৩৩টি ইঞ্জিন, যা মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার আর্টিমেস রকেটের চেয়ে দ্বিগুণ শক্তিশালী। গত ১৮ মাসের মধ্যে রোববার পঞ্চমবারের পরীক্ষায় টেক্সাসের বোকা চিকা মহাকাশ কেন্দ্র থেকে রকেটটির প্রথম-ধাপের সুপার হেভি বুস্টারটি স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ২৫ মিনিটে উৎক্ষেপণ করা হয়। এটি আকাশে উড়ে যাওয়ার পর এক পর্যায়ে এর দ্বিতীয়-ধাপের স্টারশিপ রকেটটি আলাদা হয়ে অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমে ভারত মহাসাগরে পড়ে। আর সুপার হেভি বুস্টারটি ফিরে আসে স্পেস এক্সের সেই টাওয়ারে যেখান থেকে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। উৎক্ষেপণ টাওয়ারের রোবোটিক শাখা ‘চপস্টিক’ তখন বুস্টারটিকে ধরে ফেলে। আর সাথে সাথেই আনন্দ প্রকাশ করে এক্সে স্পেস এক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক লেখেন ‘টাওয়ার রকেটটিকে ধরে ফেলেছে!’
ইলন মাস্কের স্বপ্ন হল, অন্যগ্রহে মানুষের বসতি স্থাপন করতে যাওয়ার উপযোগী রকেট তৈরি করা, যা বার বার ব্যবহার করা যাবে এবং একেক বারে শ’খানেক মানুষকে মঙ্গলগ্রহ ও চাঁদে নিয়ে যাওয়া যাবে। তাই এর উপযোগী করেই বানানো হয়েছে স্টারশিপ রকেটকে।