গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি হামলায় নিহত ২২
- আলজাজিরা
- ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এ হামলায় অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছেন। আলজাজিরার খবর অনুসারে, ইসরাইলি যুদ্ধবিমান থেকে ফেলা বোমা জাবালিয়ার বহুতল ভবনে পড়েছে। চারটি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। নিহত মানুষের মধ্যে নারী, শিশু ও প্রবীণ রয়েছেন। ওয়াফা নিউজের তথ্য অনুযায়ী, হামলায় আরো ৩০ জন আহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন ১৪ জন।
অন্য দিকে গাজা নগরীর তুফা এলাকায় একটি বাড়িতে ইসরাইলি বাহিনীর বোমা হামলায় অন্তত তিনজন নিহত ও কয়েকজন আহত হওয়ার খবর জানিয়েছে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। গাজার স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস এ হামলাটিকে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে ‘গণহত্যা’ বলেছে। হামাস জানায়, শুক্রবার গভীর রাতে জাবালিয়াতে একটি আবাসিক এলাকায় ইসরাইল হামলা চালায়। হামাস সাধারণ নাগরিকদের ওপর ইসরাইলের এ হামলাকে ’নাৎসি দখলদার গণহত্যা’ হিসেবে বর্ণনা করে এর নিন্দা জানিয়েছে।
হামাস বলেছে, চলমান নাৎসি সন্ত্রাসী অপরাধ বিশ্বের সামনে এটাই তুলে ধরছে যে এই দুর্বৃত্ত, ফ্যাসিবাদী সত্তা রক্তপিপাসু এবং আরো গণহত্যার মাধ্যমে গাজায় আমাদের জনগণ এবং লেবাননের জনগণের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে চায়। হামাস উত্তর গাজার জাবালিয়ায় ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ‘গণহত্যা’র দায়ে অভিযুক্ত করেছে। হামাসের দাবি, এসব হামলা ‘যুক্তরাষ্ট্রের মদদে নিরস্ত্র বেসামরিকদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ’ হিসাবে পরিচালিত হয়েছে। গাজায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ৪২ হাজার ১৭৫ জন নিহত এবং ৯৮ হাজার ৩৩৬ জন আহত হয়েছে।
উত্তর গাজায় ইসরাইলি অবরোধ
এ দিকে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি) অনুসারে, উত্তর গাজায় এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ইসরাইলি সামরিক অবরোধের কারণে খাদ্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা ক্রমবর্ধমান নিম্নমুখী হচ্ছে। জাতিসঙ্ঘের সংস্থাটির মতে, ১ অক্টোবর থেকে উত্তরাঞ্চলে কোনো খাদ্য সহায়তা প্রবেশ করেনি। ডব্লিউএফপি উত্তরের আশ্রয়কেন্দ্র এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে যেসব খাদ্য সরবরাহ করেছে তা কত দিন স্থায়ী হবে এটি স্পষ্ট নয়।
দ্বিতীয় ধাপের পোলিও টিকা
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে যে, গাজায় আগামীকাল সোমবার থেকে দ্বিতীয় দফা পোলিও টিকা দেয়া শুরু হবে। টিকাগুলো ১০ বছরের কম বয়সী শিশুদেরকে তিন দিনের জন্য দেয়া হবে, অতিরিক্ত একটি দিন বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। আপাতত, কেবল মধ্য গাজায় টিকাদান কর্মসূচি নিশ্চিত করা হয়েছে। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী মারাত্মক অবরোধের কারণে উত্তর গাজায় কয়েক হাজার মানুষ আটকা পড়ায় সেখানে টিকা দেয়াটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
প্রথম রাউন্ডের পোলিও টিকা সেপ্টেম্বরে দেয়া হয়েছিল এবং সফলভাবে বেশির ভাগ শিশুকে টিকা দেয়া হয়েছিল। ২০ বছরেরও বেশি আগে ছিটমহলে নির্মূল হওয়া ভাইরাসটি ইসরাইলি সামরিক হামলার কারণে স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় আবার ফিরে এসেছে।