ইসরাইলকে নিরস্ত্রীকরণে আবারো আহ্বান জানালেন ম্যাক্রোঁ
- রয়টার্স
- ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
গাজায় হামাস ও লেবাননে হিজবুল্লাহর সাথে ইসরাইলের সঙ্ঘাত নিরসনে গাজা উপত্যকা ও লেবাননে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর কাছে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধই একমাত্র উপায়। গত শুক্রবার এই মত দিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। সাইপ্রাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভূমধ্যসাগরীয় (মেডিটেরিনিয়ান) দেশের সংগঠন ‘মেড নাইন’ এর সম্মেলন শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে ম্যাক্রোঁ বলেছেন, আমরা ইসরাইলের নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান জানাচ্ছি না। এটি বরং ওই অঞ্চলে (মধ্যপ্রাচ্যে) যেকোনো রকম অস্থিতিশীলতা বন্ধের আহ্বান।
ম্যাক্রোঁ বলেছেন, আমরা আবারো যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছি। গাজা ও লেবানন দু’জায়গাতেই এটি নিশ্চিত করতে হবে। চলমান নৃশংসতার শিকার সবাইকে রক্ষা ও আঞ্চলিক অস্থিরতা রোধে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। তিনি আরো বলেন, এই সব যুদ্ধের ময়দানে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধে আহ্বান জানাচ্ছে ফ্রান্স। কারণ সহিংসতা অবসানের এটিই একমাত্র উপায়। এর আগে গত শনিবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, গাজায় সঙ্ঘাত বন্ধে অস্ত্রের চালান থামানো উচিত। এটি মূলত রাজনৈতিক সমাধান খোঁজার প্রথম ধাপ।
এর জবাবে পরদিনই নেতানিয়াহু বলেন, ইসরাইলের ওপর বিধিনিষেধ আরোপের সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী হবে ইরান ও তার সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো। ইসরাইলে ফ্রান্স খুব বেশি অস্ত্র পাঠায়নি। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক অস্ত্র রফতানি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরাইলকে গত বছর তিন কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার সমমূল্যের সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এর জবাবে ইসরাইল সামরিক অভিযান শুরু করলে গাজা যুদ্ধের শুরু হয়। তখন থেকেই হামাসের প্রতি সমর্থন জানিয়ে প্রায় নিয়মিত ইসরাইল ও লেবাননের সীমান্তবর্তী এলাকায় রকেট হামলা চালিয়ে আসছে ইরান সমর্থিত লেবানিজ প্রতিরোধ সংগঠন হিজবুল্লাহ।
সম্প্রতি ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চল, বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলি ও বেক্কা উপত্যকায় ইসরাইল বোমাবর্ষণ শুরু করলে সংঘর্ষের তীব্রতা মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পায়। ব্যাপক হামলায় হিজবুল্লাহর নেতৃস্থানীয় অধিকাংশ সদস্য প্রাণ হারান। হামলায় অসংখ্য বেসামরিক নাগরিকও হতাহত হচ্ছেন।