২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

পশ্চিমবঙ্গের ১০ জেলায় বন্যাকবলিত লাখ লাখ মানুষ

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুগলি জেলার বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন: ইন্টারনেট -

দামোদর নদী এবং এর সাথে সংযুক্ত নদীগুলোর পানি ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ১০টি জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। এতে আক্রান্ত হয়েছেন এসব জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ।
বন্যা উপদ্রুত জেলাগুলো হলো হাওড়া, হুগলি, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং পূর্ব বর্ধমান। বঙ্গপোসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে গত কয়েক দিনে এমনিতেই পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে বৃষ্টিপাত হয়েছে বেশি। ফলে নদ-নদী ও অন্যান্য জলাশয়ের পানি বেড়ে নিচু এলাকাগুলো বন্যার ঝুঁকিতে ছিল। এ সময় প্রতিবেশী ঝাড়খন্ড রাজ্যেও ব্যাপক বর্ষণ হয়। এতে দুই রাজ্যের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত দামোদর নদীর পানি আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পায়।
সোমবার রাতে প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খন্ডে দামোদর নদী প্রকল্প দামোদর ভ্যালি করপোরেশন (ডিভিসি) বাঁধ খুলে দেয়া হয়। এতে নদীর উজানে থাকা ঝাড়খন্ড থেকে ভাটির পশ্চিমবঙ্গ অংশে সোমবার ৯০ হাজার কিউসেক এবং মঙ্গলবার দুই লাখ ১০ হাজার কিউসেক পানি প্রবেশ করে। ফলে প্লাবিত হয় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের এই ১০ জেলা।
দামোদর প্রকল্প পরিচালনা ও তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার এবং ঝাড়খন্ডের রাজ্য সরকার। বুধবার ভারতের বৃহত্তম বার্তা সংস্থা পিটিআইকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের বন্যার জন্য দায়ী কেন্দ্রীয় সরকার এবং ঝাড়খন্ডের রাজ্য সরকার। দামোদর প্রকল্প এবং ঝাড়খন্ডকে বাঁচাতে তারা বাংলার (পশ্চিমবঙ্গ) ১০ জেলাকে ডুবিয়ে দিয়েছে।’
‘এর আগে এ ধরনের ঘটনা কখনো ঘটেনি। প্রায় সাড়ে তিন লাখ কিউসেক পানি ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আমি ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী এবং ডিভিসি কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি; কিন্তু তারা দায় এড়িয়ে গেছেন।’
‘লাখ লাখ মানুষ বন্যার কবলে পড়েছেন। উপদ্রুত বিভিন্ন এলাকায় যে গতিতে পানি বাড়ছে, তাতে যেকোনো সময় সবকিছু তলিয়ে যেতে পারে।’
বৃহস্পতিবার রাজ্যের কয়েকটি বন্যাকবলিত অঞ্চল তিনি সফর করবেন বলে জানা গেছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে। এ দিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগের জবাব কেন্দ্রীয় সরকার কিংবা ঝাড়খন্ড রাজ্য সরকার না দিলেও এ ইস্যুতে তার সমালোচনা করেছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির নেতা এবং বিধানসভার বিরোধীদলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘বন্যা মোকাবেলায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের কোনো আগাম প্রস্তুতি ছিল না। মুখ্যমন্ত্রী, আপনি বরাবরই নিজের দায় অন্যের ওপর চাপানোর চেষ্টা করেন। এই অভ্যাস থেকে সরে আসুন।’


আরো সংবাদ



premium cement