২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

হোম অফিসে ১০০ কোটি ডলার বাঁচল গুগলের

হোম অফিসে ১০০ কোটি ডলার বাঁচল গুগলের - ছবি - সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বের অনেক অফিসই কর্মীদের বাসায় বসে কাজের সুযোগ দিয়েছে। এই জায়গাটায় বাদ জায়নি সার্চ জায়ান্ট গুগলও। প্রতিষ্ঠানটি তাদের কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম বা বাসা থেকে কাজের দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা এ সময়ে বাসায় থাকায় যাতায়াত করতে হয়নি অফিসে। এটা গুগলের ব্যবসার জন্য বড় সুসংবাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এ ছাড়া বিভিন্ন দেশে করোনা-সম্পর্কিত বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে মানুষের ভ্রমণের প্রবণতা বাড়তে শুরু করে। অনলাইনে হতে থাকে বেশি বেশি হোটেল ও পর্যটনকেন্দ্র বুকিং, যা গুগলের বিজ্ঞাপন বিভাগের জন্য বড় সুসংবাদ আকারে আসে।

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে গুগলের প্যারেন্ট প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের অন্তত ২৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার খরচ কম হয়েছে কর্মীদের পেছনে।

কোম্পানির প্রোফাইলের সূত্র ধরে সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানায়, করোনার কারণে কোম্পানির প্রমোশন, কর্মীদের যাতায়াত ও বিনোদনের পেছনে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় খরচ একেবারে কম হয়েছে। বার্ষিক হিসাবে খরচ কম হওয়ার পরিমাণ ১০০ কোটি ডলারের বেশি।

অ্যালফাবেট চলতি বছরের বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদনে দেখায়, ২০২০ সালে বিজ্ঞাপন ও প্রমোশনে তাদের খরচ ১৪০ কোটি ডলার কম হয়েছে। বিভিন্ন ক্যাম্পেইন স্থগিত বা পুনরায় শিডিউল করা, কিছু ইভেন্ট শুধু অনলাইনেই করার জন্য তাদের ব্যয় কমেছে।

মহামারীর মধ্যে যাতায়াত ও বিনোদন খাত থেকেই শুধু গুগলের ব্যয় কমেছে ৩৭ কোটি ১০ লাখ ডলার।

গুগল এ খরচ কমিয়ে আরো অনেক কর্মী নিয়োগ দিতে পেরেছে। মহামারীর সময় কোম্পানিটি তাদের বিপণন ও প্রাশাসনিক খরচ অনেকটাই কমিয়ে এনেছে, যার কারণে আয় আগের চেয়ে ৩৪ শতাংশ বেড়ে গেছে।

কর্মীদের জন্য উন্নতমানের খাবার, বিনোদন, করপোরেট সংস্কৃতির বিনির্মাণ করে সিলিকন ভ্যালিতে ভিন্ন এক পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছে গুগল। এ ব্যবস্থাগুলো দেখে অনেক কোম্পানির কর্মীরা ঈর্ষান্বিত হন।

গত বছরের মার্চ থেকে গুগলের বেশির ভাগ কর্মীই ঘরে বসে কাজ করার সুবিধা পাচ্ছেন। এতে গুগলকে অনেক খাতে আগের মতো খরচ করতে হচ্ছে না। যদিও প্রতিষ্ঠানটি চলতি বছরের শুরু থেকে তাদের কর্মীদের আবারো অফিসে ফিরিয়ে আনার কথা জানিয়েছে।

তবে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) রুথ পোয়ার্ট বলেন, কোম্পানি হাইব্রিড মডেলে কাজ করার পরিকল্পনা করছে। এতে হয়তো একবারে সব কর্মীকে অফিসে আনা হবে না। বেশি জায়গায় অল্প কর্মীকে কাজ করানোর চিন্ত করা হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement