চমকে উঠলেন বিজ্ঞানীরা, সেই গ্রহ থেকে ভেসে আসছে রেডিও সংকেত! তবে কি...
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২১ ডিসেম্বর ২০২০, ২১:০৫
তারা কি আছে নাকি আদৌ নেই? তারা মানে, `বঙ্কুবাবুর বন্ধুরা'? অর্থাৎ বহু বছরের সেই সেই `বিতর্কিত' ভিনগ্রহীরা কি আদৌ আছে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের কোথাও? তারা কি মাঝেমধ্যেই পৃথিবীতে এসে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিয়ে যায়? সুস্পষ্ট তথ্য প্রমাণ না থাকলেও তাদের না থাকার কথাও জোর দিয়ে বলতে পারেন না দুনিয়ার তাবড় বিজ্ঞানীরাও। যদিও ভিনগ্রহ ও সেখান থেকে আসা ভিনগ্রহী প্রাণী এই দুই নিয়েই কল্পনার শেষ নেই। আমরা হয়ত বুঝতে পারি না, অথচ ওরা হয়ত আমাদের অজান্তেই `দরজার' কলিং বেলে নক করে যাচ্ছে! এবার ভিনগ্রহীদের নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন একদল বিজ্ঞানী।
ওই গবেষকদের দাবি, সৌর জগতের বাইরে থাকা এক গ্রহ থেকে রেডিও সংকেত ভেসে এসেছে। সুনির্দিষ্টভাবে তারা জানিয়েছে, ৫১ আলোকবর্ষ দূর থেকে ওই সংকেত এসেছে। `অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রো ফিজিক্স' জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, নেদারল্যান্ডসের এক রেডিও টেলিস্কোপে ৫১ আলোকবর্ষ দূর থেকে আসা সেই সংকেত ধরা পড়েছে। টাউ বুটেস নক্ষত্রমণ্ডলীর অন্তর্গত একটি গ্রহ থেকে ওই সংকেত এসেছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। তবে গবেষকরা জানিয়েছেন, শুধু ওই গ্রহটি নয়, মহাবিশ্বের আরো দুটি জায়গা থেকে আসছে রেডিও সংকেত। তবে, টাউ বুটেস নক্ষত্রমণ্ডলীর অন্তর্গত ওই গ্রহটিকে নিয়েই সবচেয়ে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা। মহাকাশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই সংকেত সৌরজগতের বাইরে প্রাণের সন্ধান সংক্রান্ত গবেষণায় নতুন দিশা এনে দিল।
এলিয়েন বা ভিনগ্রহের প্রাণী নিয়ে দিনকয়েক আগেই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন ইসরাইলের সাবেক মহাকাশ নিরাপত্তা প্রধান। হাইম এশেদ নামে ওই ব্যক্তির দাবি, ভিনগ্রহের প্রাণীর অস্তিত্ব অবশ্যই আছে এবং তাদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যোগাযোগ হয়েছে। গত ৩০ বছর ধরে ইসলাইলের মাহাকাশ বিজ্ঞান সংস্থার প্রধানের পদে ছিলেন এশেদ। ফলে ৮৭ বছর বয়সী এশেদের দাবিকে একেবারেই উড়িয়ে দিতে পারছে না তথ্যবিজ্ঞ মহল।
একটি সাক্ষাৎকারে এশেদ জানান, ‘আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্ট বা ইউএফও মনে করে যে মানবসমাজ এখনও তাদের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানতে প্রস্তুত হয়ে ওঠেনি। তাই তারা এই বিষয়টি সামনে আনতে নিষেধ করেছে। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভিনগ্রহের প্রাণীর অস্তিত্ব সম্পর্কে খুব ভালো ভাবেই জানেন এবং এই ব্যাপারে একটা সময় তিনি ‘তথ্য প্রকাশের কাছাকাছি’ও পৌঁছে গিয়েছিলেন। এশেদের আরও দাবি, মানুষকে আতঙ্কিত না করতেই ভিনগ্রহের প্রাণীরা ট্রাম্পকে এই বিষয়টি প্রকাশ করতে নিষেধ করে।
একইসাথে এশেদের দাবি, এলিয়েনরাও মানবসমাজ সম্পর্কে জানতে খুবই আগ্রহী। তবে শুধু এলিয়েনদের সঙ্গে বৈঠক নয়, এমনকী মঙ্গল গ্রহের মাটির নিচে গবেষণার জন্য আমেরিকার মহাকাশচারী ও বিজ্ঞানীদের সঙ্গে এলিয়েনদের সহযোগিতা চুক্তিও হয়েছে বলে দাবি করেছেন ইজরায়েলের ওই মহাকাশ কর্তা। এরই মধ্যে দূর থেকে ভেসে আসছে রেডিও সংকেত! ফলে ভিনগ্রহীদের নিয়ে পারদ চড়ছে পৃথিবীতে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা