২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ইউটিউবার হিসেবে বিশ্বে সর্বাধিক আয় ৯ বছরের শিশুর

ইউটিউবার হিসেবে বিশ্বে সর্বাধিক আয় ৯ বছরের শিশুর - ছবি : সংগৃহীত

ইউটিউব থেকে তার উপার্জন বিশ্বে সর্বাধিক। বয়স মাত্র ৯ বছর। তার উপার্জন শুনলে আরো অবাক বনে যাবেন। বছরে ৩০ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ২৫৪ কোটি টাকা। ভাবা যায়! তবে ভাবতে না পারলেও এটাই সত্যি। মাত্র এই টুকু বয়সেই নিজের ইউটিউব চ্যানেলে পেয়ে গিয়েছে ১২ বিলিয়নের বেশি ভিউ এবং ২৭ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার।

৯ বছরের রায়ান কাজি থাকে টেক্সাসে। খেলনা আনবক্সিং বা কোনো খেলনার রিভিউ, ছোটদের জন্য নানা সায়েন্সের এক্সপেরিমেন্ট, এসবই তার ইউটিউব ভিডিও’র বিষয়।

আমেরিকার বিজনেস ম্যাগাজিন ফোর্বস-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি উপার্জন করা ইউটিউবার হিসেবে নিজেকে পরিচিত করেছে রায়ান।

রায়ানকে এখন বলা হচ্ছে, চাইল্ড ইনফ্লুয়েন্সার। ২০১৫ সালে শুরু হয় তার ইউটিউব জার্নি। অন্যান্য টয় রিভিউ চ্যানেল দেখে সে শুরু করে নিজের ভিডিও বানানো। মা-কে জিজ্ঞাসা করেছিল, “অন্য বাচ্চারা ইউটিউবে আছে, তাহলে আমি কেন নেই?” তখন সে মাত্র তিন বছরের। এরপর থেকেই চলছে তার ভিডিও-মেকিং। এই পাঁচ বছরে সে যা উপার্জন করেছে, তা দিয়ে বানাতে পারে তার নিজের একটি বড়সড় টয় কোম্পানি। বেশির ভাগ ভিডিওতেই দেখা যায়, লেগোস, ট্রেন এবং নানা রকমের গাড়ি আনবক্সিং করছে ছোট্ট রায়ান। এছাড়াও ছোটদের জন্য ডিআইওয়াই প্রজেক্ট এবং বিজ্ঞানের পরীক্ষা-নিরীক্ষা খুব সুন্দর ভাবে প্রেজেন্ট করে এই শিশু। তার ভিডিওগুলোর মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয়তা পেয়েছে ‘হিউজ এগস সারপ্রাইজ টয় চ্যালেঞ্জ’। দুই বিলিয়ন ভিউ হয়েছে তার এই ভিডিওতে। শুধু তাই নয়, ইউটিউবের সব থেকে বেশি ভিউ পাওয়া প্রথম ৬০টি ভিডিও’র মধ্যে এটি একটি।

জানা গেছে, রায়ান এবং তার বাবা-মা নাকি মোট ৯টি ইউটিউব চ্যানেল চালান, যার প্রত্যেকটিই বেশ ভালো ভিউ পায়। তবে আমেরিকার ফেডারেল ট্রেড কমিশন, তদন্ত করে এই অভিযোগ এনেছে যে রায়ানদের চ্যানেলগুলোর স্পনসর কারা, সে বিষয়ে নাকি সঠিকভাবে কিছু প্রকাশ করা হয়নি।

সূত্র : নিউজ ১৮


আরো সংবাদ



premium cement