২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

বিল গেটস, ওবামাসহ ১৩০ প্রভাবশালীর ট্যুইটার হ্যাকিংয়ের মাস্টারমাইন্ড ১৭-র কিশোর

বিল গেটস, ওবামাসহ ১৩০ প্রভাবশালীর ট্যুইটার হ্যাকিংয়ের মাস্টারমাইন্ড ১৭-র কিশোর - ছবি : সংগৃহীত

কিছু দিন ধরেই বিটকয়েন কেলেঙ্কারিতে সরগরম ট্যুইটার। হ্যাকারদের হাতের নাগালে চলে এসেছিল সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট মনোনীত প্রার্থী জো বিডেনসহ অ্যামাজনের সিইও জেফ বেজস, কিম কার্দাশিয়ান, এলন মাস্ক, এমনকী বিল গেটসের মতো দুনিয়ার ১৩০জন প্রভাবশালী ব্যক্তির ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট। বিশ্বজুড়ে প্রশ্ন উঠেছিল ট্যুইটারের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে। চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী সেই ঘটনার তদন্তে উঠে এলো ১৭ বছরের এক কিশোরের নাম।

হ্যাঁ বিষয়টি সত্যিই অবাক করার মতোই। বিশ্বজুড়ে হইহই রব ফেলে দেয়া ট্যুইটারের বিটকয়েন কেলেঙ্কারির মাস্টারমাইন্ড আসলে ১৭ বছরের এক কিশোর। ট্যুইটারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ওই কিশোরের নাম গ্রাহাম ইভান ক্লার্ক। এই গ্রাহাম ইভান ক্লার্কের সঙ্গে ঘটনায় জড়িত রয়েছে আরো দুজন। তাদের একজনের নাম নিমা ফাজেলি, বয়স ২২। অপরজন ম্যাসন শেপার্ড, বয়স ১৯। কিছু দিন আগেই প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার ঘটনায় ফেডারাল অথোরিটিজ এই ১৭ বছরের কিশোর ক্লার্ককে ট্র্যাক করেছিল। তার বিরুদ্ধে জালিয়াতি মামলা রুজু করা হয়েছে। সেই গ্রাহাম ইভান ক্লার্ককে এই মুহূর্তে জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে।

সূত্রের খবর, হ্যাকিংয়ের কাজে বিগত কিছু বছর ধরেই কাঁচা হাত পাকা করে ফেলেছে ১৭ বছরের ওই কিশোর। আর ট্যুইটার হ্যাকিং শুরু করতে না করতেই সোজা তার হাতে চলে আসে বিশ্বের প্রথম সারির কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অ্যাকাউন্টের যাবতীয় তথ্য। চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই একটি সিক্রেট এজেন্সি প্রায় ৭ লক্ষ মার্কিন ডলার বিটকয়েন সিজ করে দিয়েছিল। তদন্তকারীরা মনে করছেন, হ্যাকিং থেকেই এই বিপুল পরিমাণ অর্থ রোজগার করেছিল গ্রাহাম ইভান ক্লার্ক।

আর তারপর ১৫ এপ্রিলই জেফ বেজস থেকে শুরু করে বারাক ওবামা বিল গেটসদের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার ঘটনা সামনে আসে। আর এহেন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ট্যুইটার প্রোফাইল হ্যাকিং করতে বিটকয়েনকেই হাতিয়ার করে ১৭ বছরের সেই মাস্টারমাইন্ড। বড় ফন্দি আঁটে সে! প্রথমে ৪৫টি ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বিটকয়েন চেয়ে ট্যুইট করা হয়। এরপরে ৩৬ জনের মেসেজ অ্যাকসেস করা হয়। আর শেষমেশ ৭ জন প্রভাবশালীর ট্যুইটার প্রোফাইলের সমস্ত তথ্য ডাউনলোড করে নেয়া হয়।

প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সবসময়ই হ্যাকারদের হিট লিস্টে থাকে। কারণ জালিয়াতি করার অন্যতম বিশেষ মাধ্যম হয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল। প্রভাবশালী ব্যক্তিদের উপরে মানুষের অগাধ আস্থা থাকে। জালিয়াতরা জানেন যে, প্রভাবশালীদের যেকোনো বার্তা মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা লাভ করে। আর সেই চিন্তাভাবনা থেকেই ১৭ বছরের গ্রাহাম ইভান ক্লার্ক সেই সব ট্যুইটার প্রোফাইল হ্যাক করে।

প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ট্যুইটার প্রোফাইল থেকে প্রথমে বলা হয়, ইউজারেরা সেই সকল অ্যাকাউন্টে যত বেশি করে বিটকয়েন পাঠাবে, ঠিক তার ডাবল পরিমাণ ফেরতও পাবেন তারা। করোনার সংক্রমণের টোপ দিয়েই মানুষকে সাহায্য করার নাম করে এই ফাঁদ পেতে বসে ১৭ বছরের ওই কিশোর এবং তার দুই সঙ্গী।

সূত্র : এই সময়


আরো সংবাদ



premium cement