ফেসবুকের ভয়ঙ্কর নেশা
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১২ জানুয়ারি ২০১৯, ০৬:৪৮
উঠতে, বসতে, হাঁটতে, চলতে চোখ ফেসবুকের পাতায়? যতক্ষণ হাতে স্মার্টফোন, ততক্ষণই সক্রিয় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে? সাবধান হোন এখনই। ফেসবুক বা অন্যান্য সোশ্যাল নেটওয়ার্ক আপনাকে যতটা এগিয়ে দেয়, তার চেয়ে বেশিই কিন্তু পিছিয়েও দিতে পারে। নেশা ধরাতে পারে মাদকের। কিংবা তার চেয়েও মারাত্মক কিছুর, যাতে আপনার জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠার আশঙ্কা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় এরকমই সাবধানবাণী।
আসলে মাত্রারিতিক্ত যেকোনো কাজেরই ফলাফল বিপরীতমুখী। নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে, বাগে আনা কঠিন। ঠিক এরকমই একটা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে সর্বক্ষণ সোশ্যাল মিডিয়ার ইউজারদের ক্ষেত্রে। মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক গবেষণার মূল উদ্যোক্তা অধ্যাপক দার মেশির কথায়, ‘এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্তত এক তৃতীয়াংশ মানুষ সোশ্যাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেন। এদের মধ্যে অধিকাংশ আবার দিনের বেশিরভাগ সময়েই এতে ব্যস্ত থাকেন। আমাদের বুঝতে হবে, এটা যেন নেশায় পরিণত না হয়। নির্দিষ্ট সময়ে ফেসবুক বা অন্যান্য সাইটে সক্রিয় থাকতে হবে। নাহলে বড় বিপদ।’
মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে জার্নাল অফ বিহেভিয়ার অ্যাডিকশনে। অন্তত ৭১ জনের ওপর সমীক্ষা করা হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই স্বীকার করছেন, তারা ফেসবুকের ওপর মানসিকভাবে নির্ভরশীল। কোনও কারণে তার থেকে দূরে থাকতে হলে, আত্মহত্যাপ্রবণ হয়ে পড়েন, নয়তো নেশাগ্রস্ত। যার প্রভাব পড়ে তাদের চাকরি এবং পড়াশোনায়। অনেকে আবার মজে যান জুয়াখেলায়।
মাদকাসক্ত হয়ে কেউ কেউ কোকেন, মিথাম্ফিটামাইনে ডুবে যাচ্ছেন। গবেষণায় আরো দেখা গেছে, ফেসবুক থেকে দূরে থেকে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন অনেকে। এরকম কয়েকটি নমুনা থেকে তারা ফেসবুক বা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের মানসিক গঠন বোঝার চেষ্টা করেছেন। তাতেই উঠে এসেছে মূল বিষয়টি। সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি বাড়তি আকর্ষণ অনেক সমস্যার সূ্ত্রপাত।
উল্টা দিকে, এসবের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে রোজকার জীবন আপডেটও থাকে, আবার চাপ মুক্তও থাকা যায়। তাই অধ্যাপক মেশির প্রস্তাব, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকুন, তবে নির্দিষ্ট সময় মেনে। তাতে আপনার উপকার বই ক্ষতি হবে না। কিন্তু আকর্ষণ বাড়লেই বুঝবেন, বিপদের হাতছানি।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা