ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ব্যতিক্রম ঘটল ঢাকার বাতাসের মানে
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৮ মে ২০২৪, ১০:১০
বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকার বাতাসের মান সাধারণত ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে থাকে। মাঝেমাধ্যে খুব বৃষ্টি হলে ‘মধ্যম’ পর্যায়ে চলে আসে। কিন্তু বাতাসের মান যে ‘ভালো’ পর্যায়ে আসে এমনটা দেখা যায় না। ব্যতিক্রম ঘটল আজ।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে টানা বৃষ্টির কারণে ঢাকার বাতাসের মান আজ মঙ্গলবার (২৮ মে) ‘ভালো’ পর্যায়ে রয়েছে। সকাল ৯টায় ৩৮ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শহরটির স্থান ৭৭তম।
একিউআই স্কোর ৫০ থেকে ১০০ -এর মধ্যে থাকলে তাকে ‘মধ্যম’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর ৫০ -এর নিচে হলে ‘ভালো’ হিসেবে বিবেচিত হয়।
১০১ থেকে ১৫০ -এর মধ্যে হলে বাতাসের মান ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’, ১৫১ থেকে ২০০ -এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০ -এর মধ্যে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
ভারতের দিল্লি, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা ও পাকিস্তানের লাহোর যথাক্রমে ২১৬, ১৭৩ ও ১৬২ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
সূত্র : ইউএনবি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা