উষ্ণতার জন্য দায়ী মিথেন নির্গমন কমাতে ইইউ’র উদ্যোগ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৪ জুন ২০২২, ২৩:৪৭, আপডেট: ১৫ জুন ২০২২, ০০:১৭
মূলত তিনটি উৎস থেকে ক্ষতিকর মিথেন গ্যাস নির্গত হয়। ৪০ শতাংশ হয় গবাদিপশুর খামার থেকে। ২০ শতাংশ আবর্জনার স্তূপ থেকে। বাকিটা কয়লা, তেল ও গ্যাস উত্তোলন ক্ষেত্র থেকে।
বিজ্ঞানীরা বলেছেন, কয়লা উত্তোলনের সময় যে মিথেন নির্গমন হয় সেটা দূর করা কঠিন। তবে তেল ও গ্যাস উত্তোলনের সময় নির্গত হওয়া মিথেনের পরিমাণ কম খরচে ও সহজে কমানো কিংবা বন্ধ করা সম্ভব।
তেল ও গ্যাস ক্ষেত্র থেকে তিনভাবে মিথেন নির্গমন হয়।
এক. স্ক্রু ঢিলা কিংবা পাইপ পুরনো হওয়ার কারণে ছিদ্র তৈরি হলে সেখান দিয়ে মিথেন বের হতে পারে।
দুই. পাইপে গ্যাসের চাপ কমানোর জন্য অনেক সময় বায়ুমণ্ডলে মিথেন ছেড়ে দেয়া হয়, যা ‘ভেন্টিং’ নামে পরিচিত।
তিন. ভেন্টিংয়ের সময় বের হওয়া মিথেন পোড়ানো, যা ‘ফ্লেয়ারিং’ নামে পরিচিত।
আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা আইইএ জানায়, বিদ্যমান প্রযুক্তি ব্যবহার করে তেল ও গ্যাস কোম্পানিগুলো মিথেন নির্গমন ৭৫ শতাংশ কমাতে পারে। যেমন : নিয়মিত দেখা-শোনার মাধ্যমে পাইপের ছিদ্র বন্ধের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এছাড়া ভেন্টিং ও ফ্লেয়ারিং না করে কম্প্রেসার ডিভাইসের মাধ্যমে গ্যাস ধরে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। শুধু জরুরি সংস্কার কাজের সময় যতটুকু গ্যাস পোড়ানো প্রয়োজন ততটুকু পোড়ানোর কথা বলেন তারা। বাকি গ্যাস বিক্রি করে কোম্পানিগুলো কিছু আয়ও করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মিথেন নির্গমন কমাতে বিভিন্ন দেশের সরকার আইন করার উদ্যোগ নিচ্ছে। যেমন মিথেন নির্গমনের পরিমাণ সম্পর্কে জানাতে কোম্পানিগুলোকে বাধ্য করতে আইন করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এছাড়া নিয়ম করে ছিদ্র বন্ধ করা এবং ভেন্টিং ও ফ্লেয়ারিং নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবও করেছে সংস্থাটি।
সূত্র : ডয়েচে ভেলে
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা