০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ২ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

বদলে যাচ্ছে আন্টার্কটিকার চরিত্র

বদলে যাচ্ছে আন্টার্কটিকার চরিত্র - ছবি : সংগৃহীত

বরফে ঢাকা থাকে আন্টার্কটিকা। এটাই এতদিন গোটা বিশ্ববাসী দেখে এসেছে। তবে পরিবেশের পরিবর্তন এবার নতুন করে চিন্তায় ফেলছে বিজ্ঞানীদের। আন্টার্কটিকার বিস্তীর্ণ অংশ ধীরে ধীরে সবুজ গালিচা নিজের প্রভাব বিস্তার করেছে। এই ছবি স্যাটেলাইট থেকেও ধরা পড়েছে। এখানে ধীরে ধীরে সবুজের এই সমাহার যথেষ্ট চিন্তায় ফেলেছে বিজ্ঞানী এবং পরিবেশবিদদের।

বিগত ৪০ বছরে এটা একটা রেকর্ড। এই সমীক্ষা প্রকাশ করেছে নেচার জিওসায়েন্স। ১৯৮৬ সালে যেখানে ০.৪ স্কোয়ার মাইলজুড়ে সবুজ দেখা যেত বর্তমানে তা প্রায় ৩০ শতাংশ হারে বেড়েছে। এক পরিবেশবিদ জানিয়েছেন, পৃথিবী ধীরে ধীরে উত্তপ্ত হচ্ছে। ফলে দ্রুত গলে যাচ্ছে বরফ। পৃথিবীতে যেভাবে একদিন শ্যাওলা তৈরি হয়েছিল এখানে, সেটাই এখন দেখা যাচ্ছে। স্যাটেলাইট থেকে যে ছবি ধরা পড়েছে তা এই সবুজের ছায়ামাত্র। তবে দ্রুত এই সবুজ গালিচা আন্টার্টিকার পরিবেশ বদলে দেবে।

বরফে চাদর ধীরে ধীরে গলে যাওয়ার ফলে সমুদ্রে পানির স্তর বাড়বে। ফলে সমুদ্রের তীরবর্তী দেশগুলোকে গ্রাস করবে সমুদ্র। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পরিবেশে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা বাড়ছে। ফলে গরম বাড়ছে। এরফলে বরফ গলছে। সেখানে জায়গা করে নিচ্ছে সবুজ শ্যাওলা। একে পৃথিবীর সবথেকে শীতল স্থান বলে অভিহিত করা হয়। সেখানে এখন তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ছে। এই ঘটনা এখন বাড়তি মাথাব্যাথা হয়েছে পরিবেশবিদদের কাছে। আন্টার্কটিকা প্রায় ৩০ দেশে শাসিত।

এরা সকলেই ১৯৫৯ সালের আন্টার্কটিকা চুক্তিতে একত্রিত। চুক্তির শর্তাবলী অনুযায়ী, সামরিক কার্যকলাপ, খনি, পারমাণবিক বিস্ফোরণ সবই অ্যান্টার্কটিকায় নিষিদ্ধ। পর্যটন, মাছধরা ও গবেষণা অ্যান্টার্কটিকার প্রধান মানব কার্যকলাপ। গ্রীষ্মের মরশুমে প্রায় ৫,০০০ লোক এখানকার গবেষণা কেন্দ্রে বসবাস করে, যা শীতকালে প্রায় ১,০০০-এ নেমে আসে। মহাদেশটির দূর অবস্থানের সত্ত্বেও দূষণ, ওজোন স্তরে ক্ষয়, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এই দিন দেখতে হয়েছে।

সূত্র : আজকাল


আরো সংবাদ



premium cement