হিরো আলমসহ ৮ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৮ জুন ২০২৩, ১২:৫৩, আপডেট: ১৮ জুন ২০২৩, ২৩:৪৪
একদাশ জাতীয় সংসদের ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলমসহ (হিরো আলম) ৮ জনের মনোনয়নপত্র নির্বাচন কর্মকর্তা যাচাই-বাছাই শেষে বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে রওশন এরশাদপন্থী প্রার্থী মো: মামুনূর রশীদের মনোনয়পত্রও বাতিল ঘোষণা করেছেন। জাতীয় পার্টি (জাপা) থেকে দু’জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। একজন পার্টির পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদের অনুসারী এবং আরেকজন পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের অনুসারী। তবে দু’জনই নিজেকে জাপার দলীয় প্রার্থী দাবি করেছিলেন।
রোববার (১৮ জুন) যাচাই-বাছাই শেষে নির্বাচন কর্মকর্তা ও ঢাকার জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো: মুনীর হোসাইন খান তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন।
মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া অন্যরা হলেন জাকের পার্টির প্রার্থী কাজী মো: রাশিদুল হাসান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো: তারিকুল ইসলাম ভূঞাঁ, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আজম খান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মুসাউর রহমান খান, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) মো: মজিবুর রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আসাদুজ্জামান জালাল।
মো: মুনীর হোসাইন খান জানান, উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ১৫ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যাচাই-বাছাই শেষে সাতজনের মনোনয়নপত্র বৈধ বিবেচিত হয়েছে। বাকি আটজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে, তারা চাইলে নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন।
উপ-নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, জাতীয় পার্টির জিএম কাদেরপন্থী সিকদার আনিসুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো: রেজাউল ইসলাম স্বপন, গণতন্ত্রী পার্টির চেয়ারম্যানপন্থী মো: কামরুল ইসলাম, গণতান্ত্রী পার্টির মহাসচিবপন্থী অশোক কুমার ধর, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো: আকতার হোসেন, তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমানের।
হিরো আলমের মনোনয়ন বাতিলের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো: মুনীর হোসাইন খান বলেন, যেকোনো সংসদীয় আসনে নির্বাচন করতে হলে এক শতাংশ ভোটারের নাম ও স্বাক্ষর প্রয়োজন হয়। কিন্তু এই এক শতাংশ ভোটার ও তাদের স্বাক্ষর নিতে পারেননি তিনি। রিটার্নিং কর্মকর্তার প্রতিনিধি দল সরেজমিন ঘুরে হিরো আলমের দেয়া এক শতাংশ ভোটারের হদিস পায়নি। এজন্যই তার মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।
যা বললেন হিরো আলম
উপ-নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করার কথা জানিয়েছেন আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। তবে নির্বাচন কমিশনে আপিল করলে কাজ হবে কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশন থেকে কিছু পাওয়া যাবে না। ওখান থেকেও বাতিল করে দেবে। সেটা আমার জানা হয়ে গেছে। হাইকোর্ট ছাড়া কোনো উপায় নেই। বাতিল হওয়ার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
মনোনয়নপত্র বাতিলের পর এখন কী করবেন জানতে চাইলে হিরো আলম সাংবাদিকদের বলেন, যেটা করার সেটাই করতে হবে। আপিল করতে হবে। আগে নির্বাচন কমিশনে, তারপরে হাইকোর্টে আপিল করব।
নির্বাচন কমিশনে কবে আপিল করবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগামীকাল সোমবার আপিল করব।
কী কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল হলো জানতে চাইলে হিরো আলম বলেন, 'আজ আমার তিনজন ভোটার উপস্থিত ছিল। কিন্তু ভোটারদের স্বাক্ষর দেখল না। ভোটাররা উপস্থিত ছিল তাদের দেখেনি...। আমি বলব নির্বাচন কমিশনার ইচ্ছা করে এটা করেছে। তার কারণ, আমার ভোটাররা সেখানে উপস্থিত, ভোটারদের কেন দেখল না; প্রশ্ন আমার একটাই।
আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ওরা বলছে স্বাক্ষর খুঁজে পায়নি। আমি বলেছি, তারা (ভোটাররা) আমার সামনে। তখন বলেছে, স্বাক্ষরে মিল নেই। আমি বললাম, তারা আমার সামনে, দেখেন। নির্বাচন কমিশন দেখল না কেন?
তফসিল অনুযায়ী, ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশান, বানানী ও ক্যান্টনমেন্ট থানার কিছু এলাকা নিয়ে গঠিত এ আসনে উপ-নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ছিল ১৫ জুন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে ২৫ জুন পর্যন্ত। ২৬ জুন হবে প্রতীক বরাদ্দ। আগামী ১৭ জুলাই সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যালট পেপারে ভোট গ্রহণ করা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা