২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

৫৮৬ কেন্দ্রে সব ভোট নৌকায়, ২১৩ কেন্দ্রে পড়েছে শতভাগ ভোট

- ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশে ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের মাত্রা কতটা ব্যাপক ছিল তার কিছু খণ্ড চিত্র উঠে এসেছে বেসরকারি সংস্থা সুশাসনের জন্য নাগরিক বা সুজনের প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে।

নির্বাচনের ছয় মাস পরে নির্বাচন কমিশন কেন্দ্র-ভিত্তিক যে ফলাফল প্রকাশ করেছে সেটি পর্যালোচনা করেই এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

সংস্থাটি বলছে, ৭৫টি আসনের ৫৮৬টি কেন্দ্রে যতগুলো বৈধ ভোট পড়েছে, তার সবগুলোই পেয়েছে নৌকা মার্কার প্রার্থীরা। এসব কেন্দ্রে ধানের শীষ কিংবা অন্য প্রার্থী কোন ভোটই পাননি।

তবে মাগুরা-২ আসনের একটি কেন্দ্রে সব ভোট পেয়েছে ধানের শীষ। যদিও সে আসনটিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়লাভ করেছে।

নির্বাচনে অনিয়মের আরেকটি দিক হচ্ছে, অন্তত পাঁচটি কেন্দ্রে ভোট গণনার পরে রিটার্নিং অফিসার তাৎক্ষণিকভাবে যে ফলাফল প্রকাশ করেছে, তার সাথে সর্বশেষ প্রকাশিত কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফলের কোন মিল নেই।

উদাহরণ হিসেবে সুজন তুলে ধরেছে, চট্টগ্রাম-১০ আসনের কথা। এই আসনে গণ-সংহতি আন্দোলনের সৈয়দ মারুফ হাসান রুমী কোন ভোট পাননি। অর্থাৎ তিনি শূন্য ভোট পেয়েছেন। এমনটাই জানিয়েছিলেন রিটার্নিং অফিসার। কিন্তু কয়েকদিন আগে প্রকাশিত কেন্দ্র-ভিত্তিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, তিনি ২৪৩ ভোট পেয়েছেন- জানাচ্ছে সুজন।

সুজনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১০৩টি আসনের ২১৩টি কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়েছে। এ বিষয়টি কোনক্রমেই বিশ্বাসযোগ্য নয় বলেও তারা উল্লেখ করেছে।

সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ফলাফল পর্যালোচনা করে চরম অসঙ্গতি এবং কারচুপি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, "সুষ্ঠু নির্বাচন তো হয় নাই। এর মধ্যে অনেক অসঙ্গতি, অনিয়ম এবং জালিয়াতি আছে। এ ব্যাপারে অনেকেরই দায় আছে। তবে সবচেয়ে বড় দায় আছে নির্বাচন কমিশনের।"

সুজনের এই পর্যালোচনা প্রতিবেদন নিয়ে নতুন করে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। তবে কয়েকদিন আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা সাংবাদিকদের বলেন, বিভিন্ন কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়া স্বাভাবিক কোন ঘটনা নয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, নির্বাচনকালীন অথবা গেজেট প্রকাশের আগে কেউ যদি অভিযোগ করতো সুনির্দিষ্টভাবে, তাহলে নির্বাচন কমিশন তদন্ত করে দেখতে পারতো। যেহেতু এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি বা কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আসেনি, গেজেট নোটিফিকেশন করার পরে আর কিছু করার থাকে না।

কিন্তু বদিউল আলম মজুমদার এ ধরনের বক্তব্যের সাথে একমত নন। তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন চাইলে ব্যবস্থা নিতে পারতো। এমনকি নির্বাচন কমিশনের ফলাফল বাতিল করারও ক্ষমতা রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। বিবিসি বাংলা।


আরো সংবাদ



premium cement
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে ভারত : জয়শঙ্কর আইনজীবী আলিফ হত্যার বিচার ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে ঝিনাইদহে হেফাজতের বিক্ষোভ খাগড়াছড়িতে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারাল কিংস আওয়ামী লীগের দোসররা ঘাপটি মেরে আছে : আব্দুল হাই শিকদার ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান এরদোগানের চলতি বছর প্রথমবারের মতো সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে হামলা চালাচ্ছে বিদ্রোহীরা পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে বাউবি ভিসি জাপানি কোম্পানিগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ বাড়ছে : জেট্রো মহিলা আ’লীগের ৫ নেত্রী গ্রেফতার ভারতের দ্বিচারিতা নিন্দনীয় ও আপত্তিকর : ড. আসিফ নজরুল

সকল