ঈশ্বরগঞ্জে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত
- ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা
- ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬:২৮
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মরিচারচর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরাফ উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলা পরিষদের সামনে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে।
পরে প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করার ঘোষণা এলে শিক্ষার্থীরা ওই স্থান ত্যাগ করে।
জানা যায়, উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নে অবস্থিত মরিচারচর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব মো: শরাফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি, আর্থিক অনিয়ম, নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বিদ্যালয়টির ছাত্র-ছাত্রীরা দীর্ঘ ১৫দিন ধরে আন্দোলন করে আসছে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপেও ওই আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। উপর্যপরি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ২ সেপ্টেম্বর থেকে অদ্যাবধি তথা ১৫ (পনেরো) দিন ধরে লাগাতার আন্দোলন, বিক্ষোভ, মিছিল, ক্লাশ বর্জন ও প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দাখিলসহ অবস্থান কর্মসূচি, প্রধান শিক্ষক ও অন্য শিক্ষকদের কক্ষে তালা লাগানোর মতো ঘটনা ঘটায়। এতে বিদ্যালয়টিতে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে প্রশাসন কর্তৃক বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে ৯ সেপ্টেম্বর চারসদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু বিদ্যালয়টিতে বিদ্যমান বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির কারণে প্রশাসন কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারেনি।
একই দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলা পরিষদের সামনে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকলে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির জরুরি সভা বসে।
বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে শিক্ষার কোনো পরিবেশ না থাকায় প্রতিষ্ঠানটির জরুরি ভিত্তিতে শৃঙ্খলা আনয়নকল্পে এবং কোমলমতি শত শত শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষায় ম্যানেজিং কমিটির ওই সভার সিদ্ধান্তে মরিচারচর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: শরাফ উদ্দিনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। একই সভায় বিদ্য্যলয়টির সহকারী প্রধান শিক্ষক জনাব মো: ফরিদ আহাম্মেদকে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেয়া হয়।
উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার ও তদন্ত কমিটির প্রধান
আশরাফুল ইসলাম জানান, গত ১৫ তারিখ বিষয়টি নিয়ে ঘোষিত তদন্ত কমিটি বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রায় দুই ঘণ্টা অবস্থান করলেও প্রধান শিক্ষকের কক্ষ তালাবদ্ধ থাকার কারণে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করা যায়নি। তবে অন্য শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করে জানা যায়, প্রধান হিসেবে প্রধান শিক্ষকের সাথে অন্য শিক্ষক/কর্মচারীর সমন্বয়হীনতা এবং তিনি প্রতিষ্ঠানটির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও নেতৃত্ব প্রদানে সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন যা আমাদের চোখে দৃশ্যমান হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সারমিনা সাত্তার বলেন, তদন্ত কমিটির কাজ শেষ হয়নি কিন্তু বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের দাবি ও আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা