১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

মির্জা আজমের বিরুদ্ধে ৭০০ একর জমি দখলের অভিযোগ

মির্জা আজমের বিরুদ্ধে ৭০০ একর জমি দখলের অভিযোগ - ছবি : নয়া দিগন্ত

জামালপুরের মাদারগঞ্জে মির্জা আজমের বিরুদ্ধে মানুষের বসতভিটা ও কৃষকদের ৭০০ একর জমি দখল এবং কথিত সৌর বিদ্যুৎ প্লান নির্মাণের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

মাদারগঞ্জ উপজেলার জোড়খালি ইউনিয়নের কাইজার চর এলাকায় দু’দফায় আয়োজিত মানববন্ধনে এমন অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর আত্মগোপনে আছেন জামালপুরের প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা মির্জা আজম। লোক চক্ষুর আড়ালে চলে গেছেন তার লালিত সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরাও।

এই সুযোগে হাফ ছেড়ে নিঃশ্বাস নিতে শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আর এলাকার কৃষকরা তাদের বসতভিটা ও কৃষি জমি রক্ষায় গঠন করেছেন সংগ্রাম কমিটি।

গত ৭ সেপ্টেম্বর সংগ্রাম কমিটির ব্যানারে অনুষ্ঠিত হয় মানববন্ধন। এতে বক্তব্য রাখেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রাজু আহম্মেদ, মাজহারুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম ও আব্দুল কাদের প্রমুখ।

বক্তৃতারা বলেন, কৃষকের ঘরবাড়ি ও জমি কেড়ে নিয়ে অসংখ্য মানুষকে ভূমিহীন করেছেন মির্জা আজম। জমি ক্রয়ের নাস লুটপাট করেছেন দেশের কোটি কোটি টাকা।

সরেজমিনে পরিদর্শনে মির্জা আজমের অনিয়ম দুর্নীতির নানা তথ্য এসেছে দৈনিক নয়া দিগন্তের সামনে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ২০২১ সালে কাইজার চর এলাকায় সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেন মির্জা আজম। ওই প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের জন্য মির্জা আজম ও তার বাহিনীর সদস্যরা এখানে জালজালিয়াতি মাধ্যমে তৈরি করেন একটি ভুয়া মৌজা।

স্থানীয়মানুষের বসতভিটা ও তিন ফসলি কৃষি জমিকে দেখানো হয় অকৃষি এবং খাস জমি। ওই সব জমি অসহায় নিরিহ কৃষকদের কাছ থেকে দখল করে নেয়া হয়। মির্জা আজমের ক্ষমতার দাপটে এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করার সাহস হয়নি কারো। সাহস করে প্রতিবাদ করতে গিয়ে এলাকার অনেক সাধারণ মানুষ হয়েছেন নির্যাতন, হামলা ও মামলার শিকার।

ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, সদ্য ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সাবেক স্থানীয় এমপি জামালপুরের প্রভাবশালী নেতা মির্জা আজম দেশের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যেই সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের নামে মেগা প্রকল্প করে কৃষকদের তিন ফসিল জমি দখল করেছেন। এ জন্য মির্জা আজমের বিচার ও তাদের জমি ফেরৎ চান এলাকার কৃষকরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের নামে কাইজের চর এলাকায় শুধু তিন ফসিল কৃষি জমি নয়। মির্জা আজমের ভূমিদস্যুবাহিনীর দখলের হাত থেকে রক্ষা পায়নি গ্রামের শত শত মানুষের বসত ভিটাও।

স্থানীয় আজাহার আলী বলেন, আমাদের বসতবাড়ি ও কৃষি জমি কেড়ে নিয়ে এলাকাবাসীকে বাস্তুহারা বানাতে চাইছিল মির্জা আজম।

তিনি আরো বলেন, মির্জা আজম ও তার অনিয়ম-দুর্নীতি, দখলবাজির বাহিনীর সন্ত্রাসীরাই এখন কোটি কোটি টাকার সম্পদ লুটপাট করে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তারাই এখন বাস্তুহারা। তিনি আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের দখল করে নেয়া জমি ও বসতভিটা বর্তমান সরকারের কাছে ফেরত চান।


আরো সংবাদ



premium cement
ইসলামী ব্যাংকে বৈষম্যের মুলোৎপাটনের দাবি পেশাদার ব্যাংকারদের বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর পর্বাতারোহণের ৫ লোকেশন আপাতত স্থগিত থাকবে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা শামীম ওসমানের ক্যাডারদের গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারের দাবি রাবির মনোবিজ্ঞান বিভাগের দুই শিক্ষিকাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা শাবিপ্রবির ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার হলেন যারা সেন্সরবোর্ড পুনর্গঠন করে হচ্ছে চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড গণহত্যায় উসকানিদাতা কবি-সাংবাদিকদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে : নাহিদ ইসলাম সাভারে হাসিনার বিরুদ্ধে একই দিন ২টি হত্যা মামলা গাজাবাসীর পাশে দাঁড়াল রোহিঙ্গা শরণার্থীরা মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি পড়ছে টেকনাফে, স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ

সকল