২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

জামালপুরে কারা বিদ্রোহে ৭ বন্দী নিহত

জামালপুরে কারা বিদ্রোহে ৭ বন্দী নিহত - ছবি : নয়া দিগন্ত

জামালপুরে জেলা কারাগারে বন্দী আসামিদের মধ্যে হঠাৎ উত্তেজনা দেখা দিলে ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এ সময় বিক্ষুব্ধ বন্দীরা বিক্ষোভ ও অগ্নিসংযোগ করে বের হতে চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় সাতজন কারাবন্দী নিহত হয়েছে।

আহত হয়েছেন জেলার, কারারক্ষী ও বন্দীসহ ১৯ জন। জামালপুর জেলা কারাগারের জেলার আবু ফাতাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জেলা কারাগারের প্রধান গেইটে গণমাধ্যম কর্মীদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।

পরে আরেকজনের মৃত্যুর খবর জানা গেছে।

নিহত বন্দীরা হলেন জামালপুর সদর উপজেলার ফহিমের ছেলে আরমান, মাসুদের ছেলে শ্যামল, নুরুল ইসলামের ছেলে জসিম ও রাহাত, ফজলে রাব্বি বাবু ও রায়হান।

এ ঘটনায় জেলার আবু ফাতাহ, কারারক্ষী রুকুনুজ্জামান, সাদেক আলী, জাহিদুল ইসলাম ও সোহেল রানাসহ ১৯ জন আহত হয়েছে।

কারা কর্তৃপক্ষ জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গ্রেফতার শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক মামলার বন্দী আসামিরা গত কয়েকদিনে কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছে। অন্য মামলার আসামিরা কারাগারে বন্দী রয়েছে। ওই বন্দী আসামিরা দুভাগে বিভক্ত হয়। তাদের একটি পক্ষ মুক্তির জন্য বিদ্রোহ করে এবং অপর পক্ষকে মারাধর করে।

একপর্যায়ে বিদ্রোহী গ্রুপটি দায়িত্বরত কারারক্ষীদের হাত-পা বাঁধে জিম্মি করে ফেলে। পরে বিদ্রোহীরা প্রথম ফটক দিয়ে জেলার কক্ষে ঢুকে তাঁকে প্রাধন ফটক খুলে দিতে বলেন। তখন তিনি গেইট ফটক দিতে অস্বীকৃতি জানালে বিদ্রোহীরা তার ওপর আক্রমণ এবং মারধর করে।

পরে বন্দীদের একটি পক্ষ ও কারারক্ষীদের সহায়তায় বের হয়ে আসেন তিনি। এ সময় বিদ্রোহীরা জেলারের কক্ষ, হাসপাতাল ও বান্দীদের সাতটি সেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে কারারক্ষীরা ফাঁকা গুলি ছুঁড়তে থাকে। পরে পিরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কারারক্ষীদের পাশাপাশি অন্য আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কারাগারে অবস্থান নেন। বর্তমানে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা সঙ্কাটাপন্ন হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্য আহতরা জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ বিষয়ে জেলা কারাগারের জেলার আবু ফাতাহ বলেন, প্রথমে বন্দীদের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। তারা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে মারামারি শুরু করে। এ সময় তারা আমাকে ও কারারক্ষীদের ওপর আক্রমণ চালায়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে শতাধিক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়া হয়। পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় তিনি ছয়জন বন্দি নিহতের কথা জানালেও পরে আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement