২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

জামালপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি বর্ষণ, আহত ১০

- ছবি : নয়া দিগন্ত

জামালপুর শহরের হাইস্কুল মোড়ে কোটা আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশ-আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও পথচারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে শহরের বাইপাস মোড় জড়ো হয় শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বাইপাস সড়ক হয়ে মির্জা আজম চত্বরে আসে। এ সময় পুলিশের বাঁধার মুখে পড়ে। সেখানেই তারা অবস্থান নেয়। বন্ধ হয়ে যায় জামালপুরে-ইসলামপুর-মাদারগঞ্জ সড়কে যান চলাচল।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মির্জা আজম চত্ত্বরে প্রায় দুই ঘণ্টা অবস্থান করে। একপর্যায়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে সামনে এগিয়ে যায়। পরে তারা পাঁচরাস্তা হয়ে চলতি পথে সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ চত্বরে আওয়ামী লীগের ব্যানার ভাংচুর করে বলে অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থীদের মিছিলটি শহরের বকুলতলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় অভিমুখে যাওয়ার পথে জামালপুর নতুন হাইস্কুল মোড়ে আরেকদফা পুলিশি বাঁধার মুখে পড়ে। এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে।

উভয়পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া সময় ককটেল বিস্ফোরণের শব্দও শোনা যায়। পুলিশের গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের পর আন্দোলনকারীরা শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ ঘটনায় আন্দোলনকারী ও পথচারীসহ প্রায় ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আন্দোলনকারীদের ঘিরে পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাবের নিরাপত্তা বেষ্টনী ছিল।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো: সোহেল মাহমুদ জানান, শিক্ষার্থীদের আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করার কথা বললেও তারা আমাদের কথা শুনেনি। পরে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে আন্দোলনকারীরা মিছিল বের করে হাইস্কুল মোড় পর্যন্ত চলে যায়।


আরো সংবাদ



premium cement