২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

৬ ঘণ্টা পর ট্রেন ছেড়ে দিলো বাকৃবি শিক্ষার্থীরা

৬ ঘণ্টা পর ট্রেন ছেড়ে দিলো বাকৃবি শিক্ষার্থীরা - ছবি : নয়া দিগন্ত

সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটাপদ্ধতি সংস্কার এবং সারাদেশে শিক্ষার্থীর ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে একটি ট্রেন অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা। প্রায় ছয় ঘণ্টা পরে (রাত ৯টা ২০ মিনিটে) ট্রেনটি ছেড়ে দেয় আন্দোলরত শিক্ষার্থী। ফলে ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

এর আগে, ঢাকাগামী জামালপুর কমিউটার ট্রেন অবরোধ করে পঞ্চম দিনের মতো আন্দোলন করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা।

দুপুর ৩টার দিকে বিভিন্ন হল থেকে মুক্তমঞ্চে এসে সমবেত হয় শিক্ষার্থীরা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে কেআর মার্কেট হয়ে আব্দুল জব্বার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সাত শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।

এদিন, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা রেললাইন অবরোধের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু রেললাইনে আগেই অবস্থান করেছিল বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী। আন্দোলনকারীরা রেললাইন অবরোধ করতে চাইলে বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগ বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি ছাড়াই রেললাইন থেকে চলে যায়। এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ঢাকাগামী জামালপুর কমিউটার ট্রেন আটকে দেয়। শিক্ষার্থীরা রেললাইনে বসে সারাদেশে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।

বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী মালিহা মাশরাত বলেন, ‘আজকে যৌক্তিক আন্দোলনে আমার ভাইয়ের রক্ত ঝরছে, আমার বোনের রক্ত ঝরছে। এ কেমন স্বাধীনতা এই কেমন বাংলাদেশ? আন্দোলনে রক্ত ঝরায় দেশের পতাকার সম্মান ক্ষুণ্ন হচ্ছে। যে ভাই আজকে মাথায় পতাকা বেঁধে আন্দোলন করছে তার মাথায় আঘাত করা হচ্ছে, পিটুনি দেয়া হচ্ছে। যৌক্তিক দাবিতে তাদের দেহের রক্ত ঝরছে। আজকে একদম স্পষ্ট করে বলতে চাই, আর একজনের দেহের রক্ত যদি ঝরে, এই বাকৃবি ছাত্র সমাজ, সারা বাংলার ছাত্র সমাজ জিরো টলারেন্স নীতিতে দাঁড়াবে।’

কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান ওয়াহিদা আঞ্জুম রিস্তা বলেন, ‘আমি সবসময় মুক্তিযুদ্ধের পরিবারের সদস্য হিসেবে গর্বিত ছিলাম। কিন্তু আমার এখন লজ্জা লাগতেছে যে আমার জন্য আমার ভাইয়েদের রক্ত ঝরছে। আমি আমার ভাইদের অধিকার, বোনদের অধিকার হরণ করে এই কোটা চাই না। আমি চাই এর একটা বিহিত হোক, কোটা সংস্কার হোক।’


আরো সংবাদ



premium cement