০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ২ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

জামালপুরে বন্যায় ৩২২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ‌, বিপাকে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা

- ছবি : নয়া দিগন্ত

উজানের পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় বন্যার পানি ৬ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার সাত উপজেলায় বন্যায় অন্তত আড়াই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। বন্যার পানিতে নিমর্জিত হওয়ায় ২৫৯টির প্রাথমিক ও ৬০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে।

শনিবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যা থেকে রোববার (৭ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত যমুনার বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে ৬ সেন্টিমিটার পানি হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় জেলার ২৫৯টি প্রাথমিক ও ৬০ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রয়েছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বলেন, বন্যার কারণে ২৫৯ প্রাইমারী স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম মোজাম্মেল হাসান জানান, জেলার ইসলামপুরে ৩০টি, দেওয়ানগঞ্জে ২৯টি এবং বকশীগঞ্জে একটি এবং মাদারগঞ্জে তিনটিসহ ৬৩টি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

তিনি নয়া দিগন্তকে বলেন, আমি ইসলামপুরের এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র গুঠাইল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং বেলগাছা উচ্চ বিদ্যালয় ও বিএম কলেজ পরীক্ষার কেন্দ্র পরির্দশনে গিয়েছিলাম। কিন্তু প্রতিষ্ঠান দু’টির মাঠে পানি থাকায় প্রবেশ করা সম্ভব হয়নি। তার নিকট জানতে চাওয়া হয় জেলায় কলেজ পর্যায়ে কতটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

এ বিষয়ে তিনি জেলা প্রশাসনের শিক্ষা ও আইসিটি শাখায় যোগ করার পরামর্শ দেন।

জেলা প্রশাসনের শিক্ষা ও আইসিটির দায়িত্ব প্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুমি আক্তারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এইচএসসি পরীক্ষা চলমান রয়েছে। কলেজ পর্যায়ে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়নি। তবে যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কক্ষে পানি ঢুকেছে সেসব প্রতিষ্ঠানের মূল্যায়ন পরীক্ষা আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন যমুনার তীরের অঞ্চলের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীরা। বাড়িতে পাবি আর রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়া এবং ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে।

জেলার ৩০টি সড়ক ভেঙে ও পানিতে চলিয়ে যাওয়ায় উপজেলা শহর গুলোর সাথে ইউনিয়ন গুলোর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগে রয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, বন্যাদুর্গতদের জন্য এই পর্যন্ত ১৯০ মেট্রিক টন চাল ও এক হাজার ৩০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মো: শফিকুর রহমান বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার ও জেলা প্রশাসনের সকল প্রস্তুতি রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement