২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দী ২ লক্ষাধিক মানুষ

- ছবি : নয়া দিগন্ত

জামালপুরের ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জে অবিরাম ভারীবর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় দুই উপজেলার সহস্রাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে অন্তত দুই লক্ষাধিক মানুষ।

দেওয়ানগঞ্জের একটি আশ্রায়ন প্রকল্প নদীতে বিলীন হওয়ায় শতাধিক পরিবার দেওয়ানগঞ্জ রেলওয়ে স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়া শতাধিক পরিবার গরু-বাছুর এবং গবাদি প্শু নিয়ে রেলস্টেশনে অবস্থান নিয়েছেন। পৌর শহরের বন্যার পানি প্রবেশ করায় অফিস আদালতের কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে।

এছাড়া ইসলামপুর উপজেলার সব কয়টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পানি আরো বৃদ্ধি পেয়ে যমুনার বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে ইসলামপুর উপজেলার যমুনার তীরর্বতী কুলকান্দি, বেলগাছা, চিনাডুলী, সাপধরী, নোয়ারপাড়া, ইসলামপুর সদর, পার্থশীসহ অন্তত ৬টি ইউনিয়নের পাচঁ শতাধিক গ্রাম, হাটবাজার প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার পরিবার। ঘরবাড়িতে পানি উঠায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। জেলার শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদানও বন্ধ রয়েছে।

জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানান, শুক্রবার (৫ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বন্যার পানির এক সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।

আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত এই পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে বলেন জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু ইতোমধ্যে বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এবং পানির প্রচণ্ড স্রোতে ইসলামপুর-মাহমুদপুর সড়কের ব্রিজে সংযোগ অংশ ধসে গেছে। এছাড়া ধর্মকুড়া-উলিয়া সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

অপরদিকে দেওয়ানগঞ্জ-খোলাবাড়ি সড়ক এবং দেওয়ানগঞ্জ-ডাংধরা সড়ক ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে পড়েছে ।
ইসলামপুর উপজেলা প্রকল্পবাস্তবান কর্মকর্তা মেহেদী হাসান টিটু জানান, ত্রাণ হিসেবে ১২০ টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে ৫০ টন বিতরণের জন্য দেয়া হয়েছে।

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা প্রকল্পবাস্তবান কর্মকর্তা মো: মাজাহারুল ইসলাম বলেন, ৪১৫টি পরিবার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। ত্রাণ হিসেবে ৩০ টন চাল ও ২৭৫ প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ পাওয়া গেছে।

জামালপুরের জেলা প্রশাসক মো: শফিকুর রহমান জানান, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের সকল প্রস্তুতি রয়েছে। ইতোমধ্যে বন্যাকবলিত উপজেলাগুলোতে চাহিদা মোতাবেক ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement