০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ জিলহজ ১৪৪৫
`

জামালপুর বন্যার পানি বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপরে

জামালপুর বন্যার পানি বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপরে - ছবি : নয়া দিগন্ত

টানা ভারীবর্ষণ ও উজানের ঢলে জামালপুরের যমুনা-ব্রহ্মপুত্রসহ সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে জেলা নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। জেলাব্যাপী বিরাজ করছে বন্যা আতঙ্ক।
ইতোমধ্যে তিনটি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও বাড়িতে পানি উঠেছে। ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যার পানির চাপে রাস্তাঘাট ভেঙে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। বন্যার কারণে বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের হাজারো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ।

গত ২৪ ঘণ্টায় বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে ৬৩ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভরী বৃষ্টিপাত ও বন্যার পানিতে চাপে জেলার ইসলামপুরের ইসলামপুর-পচাবহলা-পাঁচবাড়িয়া সড়কের দুটি স্থানে ভেঙে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।

অন্যদিকে পানির স্রোতে দেওয়ানগঞ্জ থেকে খোলাবাড়ি ও যাওয়ার প্রধান সড়কের সেতুর পাশের মাটি সরে গেছে। ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এ ছাড়া কাঠারবিল এলাকায় আঞ্চলিক সড়ক ভেঙে গেছে। আর পানি বাড়ায় বিভিন্ন জায়গায় এসএসসি পরীক্ষার্থীরা পড়েছে বিপাকে ।

জামালপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক আবদুল মান্নান বলেন, বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬১ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। ফলে বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। আগামী দুই দিন পানি বাড়তে পারে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলী, নোয়ারপাড়া, কুলকান্দি, পাথর্শী, সাপধরী, বেলগাছা; দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চিকাজানী, চুকাইবাড়ী ও বাহাদুরাবাদ; মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া, আদ্রা, মাহমুদপুর, নাংলা ও কুলিয়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।

পানি বেড়ে যাওয়ায় ইসলামপুর-গুঠাইল সড়কের দেলিরপাড় এলাকার ড্রাইভেশন ডুবে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া পানির তোড়ে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার দেওয়ানগঞ্জ-খোলাবাড়ি সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

জামালপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, যমুনা নদীতীরবর্তী এলাকাগুলোতে পানি প্রবেশ করছে। পানিবৃদ্ধি নিয়ে নদী তীরবর্তী অঞ্চলের তথ্য চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব প্রস্তুতি রাখা হয়েছে । জামালপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্ট ৬৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলার সব নদ নদীর আগামী আরো ৭২ ঘণ্টা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড ।

জামালপুরের জেলা প্রশাসক মাঃ শফিউর রহমান নয়া দিগন্তকে বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের সকল প্রকার প্রস্তুতি রয়েছে। ইতোমধ্যে সকল বিভাগের সাথে জেলা প্রশাসনের জরুরি বৈঠক হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রতিটি সেক্টর যার যার অবস্থান থেকে যথাযথভাবে কাজ করছেন।


আরো সংবাদ



premium cement