হারিয়ে যাওয়া বোনকে ৩ মাস পর ফিরে পেলেন দিলনাহার
- আসাদুজ্জামান ভালুকা (ময়মনসিংহ)
- ২৩ জুন ২০২৪, ১২:৫০
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল পেয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভালুকা উপজেলার ভরাডোবা বাজারের পাশ থেকে বৃহস্পতিবার (২০ জুন) ভোরে পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত অজ্ঞাত পরিচয়েরর এক নারীকে উদ্ধার করা হয়। যার বয়স আনুমানিক ৬০ বছর। তাকে থানা ও হাইওয়ে পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধারের পর ভর্তি করা হয় ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
ওই নারীকে ভরাডোবা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম ও ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হাসানুল হোসাইন খাবার ও চিকিৎসা সহযোগিতা দেন। ভিকটিমের পরিচয় নিশ্চিত হতে ময়মনসিংহ পিবিআই-এর একটি দল প্রযুক্তি ব্যবহার করে।
ওই নারীর নাম মোছা. জাহানারা খাতুন (৬০)। তিনি সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ থানার দক্ষিণহরিপুর গ্রামের মরহুম আব্দুল গফুরের মেয়ে। শান্তিগঞ্জ থানার ওসির মাধ্যমে জাহানারার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলে শনিবার (২২ জুন) তার ছোট বোন দিলনাহার ও তার স্বামী আব্দুল বারেক ভালুকা হাসপাতালে এসে পরিচয় শনাক্ত করেন।
দিলনাহার জানান, ঈদুল ফিতরের পর শরীরে চুলকানীজনিত সমস্যার কারণে অপর ছোটবোন হাছনা আরা বড় বোন জাহানারাকে নিয়ে শান্তিগঞ্জ থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রওনা হন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর হঠাৎ হাছনা আরা অজ্ঞান হয়ে পড়লে বড় বোন জাহানারা হারিয়ে যান। তারা এলাকায় বহু খোঁজাখোঁজি করেন।
তিনি আরো জানান, জাহানারা বাকপ্রতিবন্ধী। গত ১০ বছর ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। মানসিক সমস্যার কারণে বহু বছর আগে তার স্বামী জাহানারার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়ে অপর একটি বিয়ে করেন।
ভালুকা সমাজ সেবা অফিস, হাইওয়ে থানা পুলিশ জাহানারার বোন ও বোন জামাইয়ের কাছে তাকে তুলে দেয়। দীর্ঘ দিন পর বোনকে পেয়ে দিলনাহার খুবই খুশি। জাহানারার চিকিৎসার জন্য তারা দেশের সহৃদয়বান বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
ভালুকার ভরাডোবা হাইওয়ে থানার পরিদর্শক (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সরকারি জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে তিনি ওই নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে পিবিআই পুলিশের মাধ্যমে ওই নারীর নাম-ঠিকানা শনাক্ত করে পরিবারের লোকদের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়।
ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হাসানুল হোসাইন জানান, হাইওয়ে পুলিশ অজ্ঞাত পরিচয়ের ওই নারীকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তাকে খাবার ও চিকিৎসা দেয়া হয়। সমাজ সেবা কর্মকর্তা ও পুলিশের সহযোগিতায় ওই নারীকে তার পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলীনূর খান জানান, খবর পেয়ে তিনি হাসপাতালে ওই নারীকে দেখতে যান। পরে শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা হলে তিনি অসুস্থ ওই নারীর পরিবারের লোকদের ভালুকায় পাঠান এবং শনিবার দুপুরে তাকে তার বোনসহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা