বকশীগঞ্জে বিলুপ্তির পথে কাউন চাষ
- বকশীগঞ্জ (জামালপুর) সংবাদদাতা
- ০৮ জুন ২০২৪, ০৯:২৭
জামালপুরের বকশীগঞ্জে বিলুপ্তির পথে কাউন চাষ। এক সময় উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের গ্রামে-গঞ্জে ব্যাপক চাষ হলেও বর্তমানে কাউন চাষে কৃষকের আগ্রহ না থাকায় হারিয়ে যেতে বসেছে কাউন।
স্বল্প খরচ, সহজ চাষ পদ্ধতি ও সেচ সাশ্রয়ী হওয়ার পরও সঠিক তদারকির অভাবে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের সাথে জড়িয়ে থাকা এই ফসলটি আজ বিলুপ্তির পথে। এমনকি উপজেলায় কাউন চাষ না হওয়াই কোনো তথ্য নেই কৃষি কর্মকর্তার দফতরে।
জানা গেছে, হরেক রকমের পিঠা, খীর, পায়েস, খিচুড়ি, মলাসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী তৈরি হতো কাউন থেকে। চৈত্র মাসে ঝুরঝুরে মাটিতে বীজ ছিটিয়ে বপন করতে হয়। জৈষ্ঠ্য-আষাঢ় মাসে ফসল ঘরে ওঠে। কোনো সেচের প্রয়োজন হয় না। ফলন হয় বিঘা প্রতি ছয় থেকে আট মণ। কাউনের শীষ সংগ্রহের পর গাছের বাকি অংশ জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।
উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়নের গাজীরপাড়া গ্রামের কৃষক সেকান্দর গাজী বলেন, ‘এক সময় গ্রামের সবাই মরিচ, আলু, শাকসবজির ফাঁকে কাউন চাষ করতো। সেই কাউন বিক্রি করে সংসারের খরচ চালাতাম। এখন কাউন চাষ আর দেখা যায় না। তবে, এবার আমি ৩ বিঘা জমিতে কাউনের চাষ করেছি তাতে ভালো ফলন হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ভুট্টা চাষের পর কাউন চাষে ভালো ফলন হয়েছে এবং দাম ভালো তাই আগামীতেও কাউন চাষ করবেন এমনটাই জানান এলাকার কৃষকরা।’
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ আমিনুল ইসলাম দৈনিক নয়া দিগন্তকে জানান, কাউন এখন অভিজাত ফসল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তাছাড়া ফলন কম হওয়ায় কৃষকরা কাউন চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। তবে, আমরা চেষ্টা করছি কৃষি প্রণোদনার আওতায় এনে কৃষিকদের কাউন চাষে আগ্রহ করতে। আমরা ইতোমধ্যে এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছি যাতে করে কৃষকরা গ্রাম বাংলার এই ঐতিহ্যবাহী ফসল ধরে রাখতে পারে।
তিনি আরো বলেন, কাউন চাষ বিলুপ্তি হলেও এটাকে ধরে রাখতে কৃষকদের প্রতি আহ্বান জানান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা