দেওয়ানগঞ্জে আ’লীগ নেতাকে পেটালেন ছাত্রলীগ সভাপতি
- জামালপুর প্রতিনিধি
- ৩০ মে ২০২৪, ১৩:৩৪
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনের বিরোধের জেরে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল হাসান রুবেলের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলে মামলা করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা আল মামুন মণ্ডল। মামলায় রুবেলসহ ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। প্রান্ত নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৯ মে) দুপুরে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রুবেলসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা পাঁচ-সাতজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন আল মামুন মণ্ডল।
অভিযুক্ত রাকিবুল হাসান রুবেল উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও বিজয়ী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদের ভাতিজা।
ভুক্তভোগী আল মামুন মণ্ডল পরাজিত প্রার্থী বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যান মো: সোলায়মান হোসেনের সমর্থক ও চর আমখাওয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা মামুন তার পছন্দের প্রার্থী বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: সোলাইমান হোসেনকে সমর্থন করেন। এতে বিজয়ী প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের সমর্থকরা ক্ষিপ্ত হয়। নির্বাচনের পরে ঢাকায় যান মামুন। মঙ্গলবার (২৮ মে) দিবাগত রাতে বাড়ি ফেরার উদ্দেশে ঢাকা থেকে ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনে দেওয়ানগঞ্জ বাজার স্টেশনে আসেন তিনি। পরে সেখান থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় নিজ বাড়ি সানন্দবাড়িতে যাওয়ার পথে দেওয়ানগঞ্জ পৌর শহরের বাদেসশারিয়া বটতলা এলাকায় ছাত্রলীগ সভাপতি রুবেলের নেতৃত্বে মামুনের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারধর করা হয়। এতে তিনি আহত হন। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি যান তিনি।
আওয়ামী লীগ নেতা আল মামুন মণ্ডল বলেন, ‘নির্বাচনী বিরোধকে কেন্দ্র করে তার ওপর হামলা করা হয়। আমি তাদের পছন্দের প্রার্থীকে সমর্থন না দিয়ে আমার পছন্দের মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থীকে সমর্থন দেয়া আমাকে মারধর করা হয়েছে। আমি গুরুতর আহত হয়েছি। আজ চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যাচ্ছি। এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে।’
অভিযুক্ত উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল হাসান রুবেল বলেন, ‘আমরা রাতে রুটি খেয়ে বাসায় ফেরার পথে দেখি যে মামুন ভাইয়ের সাথে কয়েকজন নেশাখোর ছেলের ধস্তাধস্তি হচ্ছে। আমাদের গাড়ির লাইট দেখে ওই নেশাখোর ছেলেরা পালিয়ে যায়। তখন আমরা মামুন ভাইকে এগিয়ে দেই। তার সাথে আমার কোনো ধরনের মারধরের ঘটনা ঘটেনি।’
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘মারধরের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। এজাহারভুক্ত আসামি প্রান্তকে গ্রেফতার করা হযেছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা