জামালপুরে গোপন কক্ষে ভোট দিয়ে ভিডিও করে ছাত্র লীগ নেতার পোস্ট
- জামালপুর প্রতিনিধি
- ০৮ মে ২০২৪, ১৮:২৫
জামালপুরে নিজের ভোট গোপন কক্ষে দিয়ে সেই ভিডিও এবং ছবি ফেইসবুকে পোস্ট দিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক নাফিউল করীম রাব্বি।
বুধবার (৮ মে) বেলা ১১টার দিকে জামালপুর পৌর শহরের জরিনা মিয়ার উদ্দিন ও জগবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন ওই ছাত্রলীগ নেতা। এ সময় তার সাথে দলীয় নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, কেন্দ্রে গিয়ে গোপন কক্ষে ভোট দিয়ে সেটি ভিডিও ধারন করেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাফিউল করীম রাব্বি। সে পৌর শহরের স্টেশন রোডের বাগান বাড়ি এলাকার বাসিন্দা ।
নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক স্থানীয় এক ভোটার বলেন, ছাত্রলীগ নেতা নাফিউল করীম রাব্বি দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। এরপর তিনি ইলেকট্রনিক্স বুটিং মেশিন (ইভিএম) আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে গোপন কক্ষে যান। তার সাথে থাকা একজনকে দিয়ে ভিডিও এবং ছবি ধারন করেন। পরে সেই ভিডিও এবং ছবি তার ব্যক্তিগত ফেইসবুক আইডিতে পোস্ট করেন।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাফিউল করীম রাব্বি বলেন, আইডিটা এডমিন দিয়ে চালানো হয়। সে ভুলবশত ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছে। পরে এটা আমার নজরে আসার পরে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
জরিনা মিয়ার উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মো: হুমায়ুন কবীর বলেন, গোপন কক্ষের মধ্যে ফোন নিয়ে যাওয়া ও ছবি তুলা আইন বিরোধী কাজ। বিষয়টি আমার নজরে আসেনি। বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে দেখছি।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার বলেন, ভোট কেন্দ্রের গোপন বুথে প্রকাশ্যে ভোট দেয়ার ছবি তুলা বেআইনি। বিষয়টি কেউ আমাদের অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, এ নির্বাচনে সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ১৬৯টি ভোট কেন্দ্রে এক হাজহার ৪১০টি ভোট কক্ষে সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। নির্বাচনে দুই লাখ ৬৯ হাজার ৮৭০ জন পুরুষ ভোটার ও দুই লাখ ৮১ হাজার ৫৭৮ জন নারী ভোটার রয়েছে। তবে এ নির্বাচনে ১৬৯টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১৫৪টি ভোট কেন্দ্র ঝঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছিলেন স্থানীয় প্রশাসন।
এসব কেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য ১৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, এক হাজার ২২জন পুলিশ, তিন হাজার ৪০৬ জন আনসার। এ ছাড়া বিজিবি ও র্যাবের সমন্বয়ে চার স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা হয়েছিল। তবে ছোটখাটো গোলযোগ ছাড়া সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান জেলা নির্বাচন অফিসার।
তিনি বলেন, এখন ভোট গণনা চলছে। বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র থেকে পাওয়া বেসরকারি তথ্যানুযায়ী মোটরসাইকেল ও কাপ-পিরিচ প্রতীকের মধ্যে হাড্ডি লড়াইয়ের খবর শোনা যাচ্ছে।